WB Panchayat Election : ‘ঘাসফুল’ চিহ্ন না পেয়ে গোঁসা, তৃণমূলের বিরুদ্ধেই আদালতের দ্বারস্থ নির্দল প্রার্থী


বলাগড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব গড়াল আদালত পর্যন্ত। শাসক দলের হয়ে মনোনয়ন জমা দিলেও অনৈতিকভাবে সেই প্রার্থীকে নির্দল করে দেওয়ার অভিযোগ। সংশ্লিষ্ট বিডিওর বিরুদ্ধে তদন্তের আবেদন জানিয়ে মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে। হুগলির বলাগড়ে প্রথমে শাসক দলের চিহ্ন মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরেও তাঁকে নির্দল করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি এক প্রার্থীর। পাশাপাশি পরে অন্য ব্যক্তি মনোনয়ন জমা দিলে তার মনোনয়ন শাসক দলের প্রার্থী হিসেবে গ্রহণ হয়। বলাগড় ব্লকের বিডিও-র বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ সংস্থা দিয়ে তদন্তের আবেদন জানান ওই প্রার্থী। এদিন মামলা দায়ের করার অনুমতি দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

Manoranjan Bapari On Recruitment Scam : &amp#39;…কেস কবে যে ইডি তুলে নেবে বলা মুশকিল!&amp#39; নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য মনোরঞ্জনের
মামলাকারী আইনজীবীর অভিযোগ, ২০ তারিখ পর্যন্ত তাঁর নাম শাসক দলের প্রার্থী হিসেবে থাকলেও পরে তা নির্দল হয়ে যায়। শাসক দলের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দিক আদালত, এই মর্মেই দায়ের হয় মামলা। কাল শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে এই মামলার।

Manoranjan Bapari Resigns: &amp#39;রাজনীতি আমার মতো মানুষের জন্য নয়…!&amp#39; পঞ্চায়েতের আগেই দলের পদ থেকে ইস্তফা, বিস্ফোরক মনোরঞ্জন
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমার শুরু থেকেই টিকিট নিয়ে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব সামনে আসে বলাগড়ে। তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব করে কিছু লোককে টিকিট পেয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয় তৃণমূলের একাংশ থেকে। বিধায়কের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় স্থানীয় ব্লক সভাপতি নবীন গঙ্গোপাধ্যায়কে।

Manoranjan Bapari : &amp#39;বলাগড় জুড়ে এই খেলা চলছে…&amp#39;, দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক পোস্ট তৃণমূল বিধায়কের
বিষয়টির জল এতদূর গড়ায় যে দলীয় একাধিক পদ থেকে পদত্যাগ করেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী। পঞ্চায়েত নির্বাচন কমিটির সদস‍্য ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ‍্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করেন তিনি। এমনকি বিধায়ক পদ থেকেও তিনি সরে দাঁড়াতে পারেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূল বিধায়ক।

Manoranjan Byapari: টিকিট দুর্নীতি? কাঠগড়ায় মনোরঞ্জন ব্য়াপারী

অন্যদিকে, আরেক গোষ্ঠী মনোরঞ্জন ব্যাপারীর বিরুদ্ধে এবং দলের একাংশের বিরুদ্ধে জোর করে টিকিট দেওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ তুলেছে। এমনকি মনোনয়নের সময়ের মধ্যেই কিছু প্রার্থী নথি জমা দিলেও তাঁদেরকে পরে ঘাসফুল চিহ্ন না দিয়ে নির্দল হিসেবে ঘোষণা করে দেওয়া হয় অনৈতিক ভাবে বলে তাঁদের মত। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বিশ্বনাথ নাগ বিষয়টি জানিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং সর্বোপরি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।
তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয়টি এবার আদালত পর্যন্ত গড়াল। আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। তবে তৃণমূলের বিদ্রোহী গোষ্ঠী জানিয়েছেন, অনৈতিকভাবে প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগসাজশ করে তাঁদের ঘাসফুল চিহ্ন পাওয়া থেকে বিরত রাখা হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *