মামলাকারী আইনজীবীর অভিযোগ, ২০ তারিখ পর্যন্ত তাঁর নাম শাসক দলের প্রার্থী হিসেবে থাকলেও পরে তা নির্দল হয়ে যায়। শাসক দলের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দিক আদালত, এই মর্মেই দায়ের হয় মামলা। কাল শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে এই মামলার।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমার শুরু থেকেই টিকিট নিয়ে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব সামনে আসে বলাগড়ে। তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব করে কিছু লোককে টিকিট পেয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয় তৃণমূলের একাংশ থেকে। বিধায়কের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় স্থানীয় ব্লক সভাপতি নবীন গঙ্গোপাধ্যায়কে।
বিষয়টির জল এতদূর গড়ায় যে দলীয় একাধিক পদ থেকে পদত্যাগ করেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী। পঞ্চায়েত নির্বাচন কমিটির সদস্য ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করেন তিনি। এমনকি বিধায়ক পদ থেকেও তিনি সরে দাঁড়াতে পারেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূল বিধায়ক।
অন্যদিকে, আরেক গোষ্ঠী মনোরঞ্জন ব্যাপারীর বিরুদ্ধে এবং দলের একাংশের বিরুদ্ধে জোর করে টিকিট দেওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ তুলেছে। এমনকি মনোনয়নের সময়ের মধ্যেই কিছু প্রার্থী নথি জমা দিলেও তাঁদেরকে পরে ঘাসফুল চিহ্ন না দিয়ে নির্দল হিসেবে ঘোষণা করে দেওয়া হয় অনৈতিক ভাবে বলে তাঁদের মত। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বিশ্বনাথ নাগ বিষয়টি জানিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং সর্বোপরি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।
তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয়টি এবার আদালত পর্যন্ত গড়াল। আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। তবে তৃণমূলের বিদ্রোহী গোষ্ঠী জানিয়েছেন, অনৈতিকভাবে প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগসাজশ করে তাঁদের ঘাসফুল চিহ্ন পাওয়া থেকে বিরত রাখা হয়েছে।