স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘ শিকরত্তরের নতুন কংগ্রেস গুলো সব বাড়ি ছাড়া হবে। সিপিএম খুব বেড়েছে,রাজু চুপ থাক,না হলে তোর ছবি হবে।’ এই পোস্টারকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বলগোনা রেল স্টেশন সংলগ্ন পাড়ায় এই ধরনে পোস্টার দেখা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাতারের কয়েক জন প্রধানসহ বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী সমর্থক তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে কংগ্রেসে যোগদান করে। কংগ্রেসের হয়ে এবার তাঁরা মনোনয়ন জমা দিয়েছে। লগোনা পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান শেখ আমজাদও কংগ্রেসে যোগদান করে এবং ভাতার পঞ্চায়েত সমিতিতে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেয়।
বলগোনা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭১ নং বুথের সিপিএম প্রার্থী টুকটুকি খাতুনের বাড়ির দেওয়ালে ও বাম ও কংগ্রেসের নির্বাচনী কার্যালয়ের কাছে এই ধরনের পোস্টার পড়ায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সিপিএম ও কংগ্রেসের দাবি, বলগোনা পঞ্চায়েতে তাদের জোট হয়েছে।
সিপিএম প্রার্থী টুকটুকি খাতুন বলেন, ‘পোস্টারে আমাকে ও আমার স্বামীকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। পাশের গ্রামে শিকত্তরে বলগোনা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সেখ আমজাদ সহ বেশ কিছু তৃণমুল কর্মী কংগ্রেসে যোগদান করায় তাদেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমরা বাড়ি বাড়ি প্রচার করছি। জনগণের রায়ে আমাদের জয় নিশ্চিত। এটা তৃণমূলের কাজ। লুঠের পঞ্চায়েত ভেঙে জনগনের পঞ্চায়েত তৈরি করব, কারণ আমাদের পাশে আছেন।’
প্রদেশ কংগ্রেসের সদস্য গৌরব সমাদ্দার বলেন, ‘তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি হারিয়ে গিয়েছে। বাম-কংগ্রেসের জোটকে ভয় পেয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল এই পোস্টার লাগিয়েছে। এই ঘটনাই প্রমান করছে তৃণমূলের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। সেই কারণে ভয় দেখিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেতার চেষ্টা করছে।’
রাজ্য তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘যারা আসন সমঝোতা করেছেন রাতের অন্ধকারে এসব পোস্টার তারাই দিচ্ছেন বাজার গরম করার চেস্টা করছে। জোটের পর সাধারণ মানুষের সমর্থন না পেয়ে নিজেরাই করছে। তৃণমূল এসব কাজের সঙ্গে যুক্ত নয়।’