রবিবার ভোটপ্রচারের চুঁচুড়া বিধানসভার অন্তর্গত দেবানন্দপুরের সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন ইন্দ্রনীল। সেই সভাতেই চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের হাত ধরে বিজেপি থেকে তৃণমূলের যোগ দেন বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর। সেই প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে বিধায়কের ঢালাও প্রশংসা শোনা যায় ইন্দ্রনীালের গলায়।
অসিতের উদ্দেশে ইন্দ্রনীল বলেন, ‘মানুষের নানা ধরনের শরীর খারাপ হয়। কিন্তু পেট খারাপ হলে সব থেকে বেশি সমস্যা। পেট খারাপে লোমোটিল ভালো কাজ করে। লোমোটিল আকারে ছোটো হলেও পেট খারাপের ক্ষেত্রে ভীষণ কার্যকরী। চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারও ঠিক তেমনই। চুঁচুড়া বিধায়কের চেহারা ছোটোখাটো, কিন্তু ভালো কাজ করেন।’
চন্দননগরের বিধায়ক আরও বলেন, ‘২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে এইসব যুবকরাই তৃণমূল প্রার্থী রত্না দে নাগকে পরাজিত করতে ভূমিকা পালন করেছিল। বিধায়ক তাদেরকেই দলে ফিরিয়ে এনেছেন। যাঁরা জয়েন করল তাদের বলব মাথা ঠান্ডা রাখতে। লক্ষ্য রেখ রবীন্দ্রনাথের গান ‘আসা যাওয়ার পথের ধারে’ যেন আগামী দিনে না গাইতে হয়। এখানে এসেছ, ভালোভাবে থাক। তোমরাও বুঝে গেছো, যতই বিজেপি কর বাংলার মানুষের পাশে একজনই আছে তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
দলীয় কোন্দলের কারণে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল সমস্যায় পড়তে পারে, এমনটা মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সেই নিয়েও বার্তা দিতে শোনা যায় মন্ত্রীকে। ইন্দ্রনীল বলেন, ‘বিরোধীরা আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী নয় আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী আমাদেরই লোক। পারলে তাঁদের আরও কাছে নিয়ে আসুন। বিরোধীরা ভোট দিতে যেতে না পারলে তাদের টোটো করে বুথে পৌঁছে দিন। যাতে তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করতে পারেন। বাংলার ৩৪১ টা ব্লকে সুষ্ঠ মনোনয়নের কথা বলেছিল তৃণমূল। বাস্তবেও তেমনটাই হল। ২০২৪ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে আমরা অন্যরূপে দেখব।’