পঞ্চায়েতের মুখে ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতিয়ার NRC। নাগরিকত্ব ইস্যুতে এদিন সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র ১৯৭২ সালের আগের কাগজ দেখাতে বলছে। আগে প্রধানমন্ত্রী নিজে কাগজ দেখান। তারপর সাধারণ মানুষ দেখাবে। অসমে ১১ লাখ বাঙালির নাম বাদ দিয়েছে। ভোটার কার্ড থাকা ভোটারদের ভোটে জিতে তাদেরই অবৈধ বলছেন প্রধানমন্ত্রী-শাহ। যে মানুষের ভোটে জিতে সিংহাসনে তাদেরই আজ অবৈধ বলছেন। সেদিকে দেখতে গেল অবৈধ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন ওঁরা। মোদী শাহের তাহলে পদত্যাগ করা উচিত। ‘
এইদিন বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানোর মাঝে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মতুয়া প্রসঙ্গও টেনে আনেন। বলেন, ‘এদেশে মতুয়াদের যতটা অধিকার, ততটাই আমার আপনার। গতবারে এনআরসি-এর জুজু দেখিয়ে ভোট কেড়েছে এবার মুখ থুবড়ে পড়বে।’ এখানেই শেষ নয় ঠাকুরনগরের গণ্ডগোলের ঘটনার উল্লেখ করে বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি।
অভিষেক বলেন, ‘আমাকে বলেছে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করে আসিনি বলে মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। আমি এই বাংলার ছেলে আমাকে বলছে মতুয়া মন্দিরে পুজো দিতে হলে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে আসতে হবে। যাদের হাতে গোধরার রক্ত লেগে তাদের পা চাটছে। কখনও শুনেছেন মন্দিরে যেতে গেলে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লাগে! বিপত্তারিণীর পুজো আজ। অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে কি পুজো দিতে গিয়েছিলেন? শুভেন্দু অধিকারী অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে আসতে বলছেন। শান্তনু ঠাকুর মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দেন। আমাকে ঢুকতে দেননি। ভোটে হেরে বিরোধী দল হতেই মন্দিরে ঢুকতে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে বলছে। এ কোন উগ্র হিন্দুত্ববাদ! আমি জানি এর জবাব নদিয়া ও বনগাঁর মানুষ ভোটে দেবেন। ‘ এখানেই শেষ নয়, এমনকী মেহুল চোকসি,নীরব মোদীর প্রসঙ্গে টেনেও আক্রমণ শানান তিনি। এছাড়া ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার টাকার ইস্যু তো ছিলই।