Alipurduar News : ওরাও শিক্ষার আলো পাক! দুঃস্থ পড়ুয়াদের জন্য সঞ্চিত অর্থ তুলে দিলেন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মী


ওরাও শিক্ষার আলো পাক! পড়াশোনা করে নিজের পায় দাঁড়াক। দুঃস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কর্মজীবনের সঞ্চিত অর্থ তুলে দিলেন স্কুলের হাতে। আলিপুরদুয়ার নেতাজি বিদ্যাপীঠ বিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই উদ্যোগের কথা জানালেন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মী অমলেশ চক্রবর্তী। জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার জংশন ভোলারডাবরীর বাসিন্দা অমলেশ চক্রবর্তী জংশন লিচুতলায় উত্তরবঙ্গ খেত্রিয় গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মী ছিলেন। এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক অনটনের সমস্যা তার সবটাই জানা। অবসর হওয়ার পর থেকেই সেই সমস্যা সমাধান নিয়ে তিনি যথেষ্ট চিন্তা-ভাবনায় ছিলেন।

Alipurduar Panchayat Election : বৃষ্টি থামলেও জল থৈ থৈ আলিপুরদুয়ার, নৌকায় চেপে প্রচার সারলেন TMC প্রার্থী
অবশেষে দুঃস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়াতে এই অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করলেন তিনি। জানা গিয়েছে, তিনি ‘প্রতিভা দেবী’ নামে একটি ট্রাস্ট তৈরি করছেন। যার জন্য তিনি বিদ্যালয়কে ১০ লক্ষ টাকা অর্থ দান করেছেন। সেই টাকা বিদ্যালয়ে কর্মীদের কয়েকজনকে নিয়ে প্রতিভা দেবী নামে একটি ট্রাস্টে রাখা থাকবে। সেই টাকা ট্রাস্টের নামে ব্যাংকে ফিক্স ডিপোজিট করা থাকবে।

Panchayat Election 2023 : একই আসনে ২৫ জন প্রার্থী! ব্যালট ছাপাতে হিমশিম প্রশাসন
আর সেই ফিক্স ডিপোজিটের থেকে আসা সুদের টাকা জমা থাকবে ট্রাস্টের কাছে। বাৎসরিক যে অংকের টাকা জমবে, সেই টাকা থেকেই বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের মেধাবী দুঃস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য অনুদান হিসেবে দেওয়া হবে। এদিন বিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে এই বিষয়ে তাঁর নিজের মনের ইচ্ছে খুলে জানান।

Alipurduar Panchayat Election : প্রচারে বেরিয়েই তৃণমূল কার্যালয়ে গিয়ে ভোট প্রার্থনা BJP প্রার্থীর! অবাক কাণ্ড আলিপুরদুয়ারে
তিনি বলেন, ‘মা-এর খুব ইচ্ছে ছিল এলাকার কচি-কাঁচারা উচ্চ শিক্ষিত হোক। আর্থিক অনটন যেন কখনোই মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষায় বাধা না হয়ে ওঠে। দুঃস্থ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের সাহায্যের জন্য মা নিজেই বলেছিলেন। তবে নানান কারণে এই উদ্যোগ নিতে পারিনি।’ তাঁর কথায়, আমার এই উদ্যোগে এক দিকে যেমন মায়ের ইচ্ছে পূরণ হবে। তেমনি এলাকার বেশ কিছু মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী উচ্চশিক্ষিত হবে।

Alipurduar News: ৫ দিনের অপেক্ষা শেষে সন্তান এল মায়ের কোলে!

নেতাজি বিদ্যাপীঠ বিদ্যালয়ের ভার প্রাপ্ত শিক্ষক অসীম দাস বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয় সরকারি অনুদানে চলে। এই বিদ্যালয়ে জংশন এলাকার পাশাপাশি জয়েন্তী, রাজাভাতখাওয়া, মাঝেরডাবরি এই সব এলাকার ছাত্র ছাত্রীরাও পড়তে আসে। ফলে বিদ্যালয়ের পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক প্রতিকূলতার জেরে বিদ্যালয়ের নানান ধরনের ফিস একেবারেই ন্যূনতম রাখা হয়েছে।’
ফলে সারা বছর বিদ্যালয়ের ফিস থেকে যে অর্থ সংগ্রহ হয় তা দিয়ে বিদ্যালয়ে চালানোই বড় দুষ্কর। সেই জায়গায় অমলেশ চক্রবর্তী’র দেওয়া অর্থ বিদ্যালয়ের কাজে না লাগলেও, বিদ্যালয়ে পাঠরত মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের অনেক কাজে লাগবে। এই ধরনের সহযোগিতা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় আরো উৎসাহিত করবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *