অবশেষে দুঃস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়াতে এই অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করলেন তিনি। জানা গিয়েছে, তিনি ‘প্রতিভা দেবী’ নামে একটি ট্রাস্ট তৈরি করছেন। যার জন্য তিনি বিদ্যালয়কে ১০ লক্ষ টাকা অর্থ দান করেছেন। সেই টাকা বিদ্যালয়ে কর্মীদের কয়েকজনকে নিয়ে প্রতিভা দেবী নামে একটি ট্রাস্টে রাখা থাকবে। সেই টাকা ট্রাস্টের নামে ব্যাংকে ফিক্স ডিপোজিট করা থাকবে।
আর সেই ফিক্স ডিপোজিটের থেকে আসা সুদের টাকা জমা থাকবে ট্রাস্টের কাছে। বাৎসরিক যে অংকের টাকা জমবে, সেই টাকা থেকেই বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের মেধাবী দুঃস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য অনুদান হিসেবে দেওয়া হবে। এদিন বিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে এই বিষয়ে তাঁর নিজের মনের ইচ্ছে খুলে জানান।
তিনি বলেন, ‘মা-এর খুব ইচ্ছে ছিল এলাকার কচি-কাঁচারা উচ্চ শিক্ষিত হোক। আর্থিক অনটন যেন কখনোই মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষায় বাধা না হয়ে ওঠে। দুঃস্থ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের সাহায্যের জন্য মা নিজেই বলেছিলেন। তবে নানান কারণে এই উদ্যোগ নিতে পারিনি।’ তাঁর কথায়, আমার এই উদ্যোগে এক দিকে যেমন মায়ের ইচ্ছে পূরণ হবে। তেমনি এলাকার বেশ কিছু মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী উচ্চশিক্ষিত হবে।
নেতাজি বিদ্যাপীঠ বিদ্যালয়ের ভার প্রাপ্ত শিক্ষক অসীম দাস বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয় সরকারি অনুদানে চলে। এই বিদ্যালয়ে জংশন এলাকার পাশাপাশি জয়েন্তী, রাজাভাতখাওয়া, মাঝেরডাবরি এই সব এলাকার ছাত্র ছাত্রীরাও পড়তে আসে। ফলে বিদ্যালয়ের পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক প্রতিকূলতার জেরে বিদ্যালয়ের নানান ধরনের ফিস একেবারেই ন্যূনতম রাখা হয়েছে।’
ফলে সারা বছর বিদ্যালয়ের ফিস থেকে যে অর্থ সংগ্রহ হয় তা দিয়ে বিদ্যালয়ে চালানোই বড় দুষ্কর। সেই জায়গায় অমলেশ চক্রবর্তী’র দেওয়া অর্থ বিদ্যালয়ের কাজে না লাগলেও, বিদ্যালয়ে পাঠরত মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের অনেক কাজে লাগবে। এই ধরনের সহযোগিতা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় আরো উৎসাহিত করবে।