জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুর তিনটে নাগাদ স্কুলের পোশাক পড়ে ৮ জন নৌকা করে গঙ্গা নদী পেরিয়ে এসেছিল উত্তরপাড়ায়। সেখানেই তাঁরা গঙ্গার পাড়ে বসে বিয়ার খায়। বৃষ্টির কারণে লঞ্চ ছাড়তে দেরি হওয়ায় দু’জন সিগারেট কিনতে যায় দোকানে। সেই সময়েই হঠাৎ ভেসেল ছেড়ে দেয়।
তখনই মলয় জেটি থেকে ঝাঁপ মেরে ভেসেলে উঠতে গেলে গঙ্গায় পড়ে যায়। তারপর থেকেই নিখোঁজ ওই স্কুল পড়ুয়া। ওই স্কুল পড়ুয়াকে বাঁচাতে জলসাথীর এক কর্মী বিক্রম সিং জলে ঝাঁপ দিয়ে দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজি করলেও তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে নিখোঁজ ছাত্রের দাদা সৌরভ বলেন, “আমি বাড়িতে ছিলাম।
ভাইয়ের বন্ধুদের থেকে খবর পেয়ে উত্তরপাড়া আসি। বন্ধুদের সঙ্গে উত্তরপাড়ায় এসেছিল মলয়। তারপর ভেসেলে উঠতে গিয়ে এই দূর্ঘটনা ঘটে শুনলাম”। এই বিষয়ে ভেসেলের মাস্টার গৌতম দাস বলেন, “আমরা দেখেছি কয়েকজন ছাত্র জেটিতে বসে বিয়ার খাচ্ছিল। সেই সঙ্গে অশ্লীল ভাষায় কথাও বলছিল নিজেদের মধ্যে।
ভেসেল ছাড়ার আগে দু’জন সিগারেট কিনতে যায় ওপরে। আমরা বারণ করেছিলাম। কিন্তু তাঁরা কথা শোনেনি। ভেসেল ছাড়তেই তাঁরা লাফিয়ে উঠতে যায়। তার মধ্যে একজন জলে পড়ে যায়”। খবর পেয়ে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ গিয়ে খোঁজ শুরু করে। এই বিষয়ে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন জেটির পাশের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী।
তিনি বলেন, “এই জেটিতে প্রায়ই অন্য জায়গা থেকে ছেলেদের দল এসে নেশা করে, স্থানীয় লোকদের সঙ্গে ঝামেলা করে। এই বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করতে দেখা যায়নি। আর এই কারণেই ঘটে গেল মারাত্মক দুর্ঘটনা। আজকের যুগের ছেলেদের নিজেদের নিয়ে সজাগ হওয়া উচিৎ”।