এই সময়: ভোটাভুটি করা হয়েছিল। আবাসনের মধ্যে এক ফালি সবুজ লনে সেখানকার কচিকাঁচারা খেলতে পারবে কিনা তা জানার জন্য। অদ্ভূতুরে সেই ভোটের ফলাফলও হয়েছিল অদ্ভূত। তবে কোনও আবাসনে শিশুরা খেলতে পারবে কিনা, তার নিয়ন্তা যে আবাসনের মালিকদের সংগঠনের ‘বোর্ড অফ ডিরেক্টর্স’ যে নিতে পারে না, তা স্পষ্ট করে দিল রাজ্য শিশু অধিকার রক্ষা কমিটি (সিপিসিআর)। আবাসনের এই জটিলতা কাটাতে সোমবার তারা নির্দেশ জারি করেছে, সপ্তাহে পাঁচ দিন সেখানকার শিশুদের খেলতে দিতে হবে। কোনওভাবেই তাদের নাকাল করা যাবে না।
পাইকপাড়ার আবাসন ‘অরবিট স্কাইভিউ’। সেখানে যে এক টুকরো সবুজ লন রয়েছে, তাতে কচি কাঁচারা খেলত। তাতেই আপত্তি কয়েকজন বাসিন্দার। তাঁদের একাংশ বাচ্চাদের খেলতে বাধা দেয়। তা নিয়ে গোলমালও বাধে। শেষ পর্যন্ত ভোটাভুটি হয়। মোট ১২৭ জন ভোটারের মধ্যে ২৩ জন জানায়, বাচ্চারা যে কোনও সময় ওই মাঠে খেলতে পারবে।
পাইকপাড়ার আবাসন ‘অরবিট স্কাইভিউ’। সেখানে যে এক টুকরো সবুজ লন রয়েছে, তাতে কচি কাঁচারা খেলত। তাতেই আপত্তি কয়েকজন বাসিন্দার। তাঁদের একাংশ বাচ্চাদের খেলতে বাধা দেয়। তা নিয়ে গোলমালও বাধে। শেষ পর্যন্ত ভোটাভুটি হয়। মোট ১২৭ জন ভোটারের মধ্যে ২৩ জন জানায়, বাচ্চারা যে কোনও সময় ওই মাঠে খেলতে পারবে।
৫৯ জন জানায়, খেলতে পারবে, তবে কিছু নিয়ম মেনে। আর ৪৯ জন জানান, বাচ্চারা কখনওই খেলতে পারবে না। তবে ২২২ জন ফ্ল্যাট মালিকের মধ্যে অধিকাংশ এই পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে ভোট দেননি। তাঁদেরই একাংশ সিপিসিআর-এ অভিযোগ দায়ের করেন। ‘চাইল্ড লাইন’ নামের একটি সংস্থাকে দিয়ে তদন্তও করায় কমিটি।
সেই রিপোর্টে জানা যায়, বাচ্চাদের শুধু খেলতে বাধা দেওয়াই হয়নি, বিভিন্ন সময় তাদের খেলার সরঞ্জামও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সোমবার কমিটি যে নির্দেশ দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, ‘ইউনাইটেড নেশনস কনভেনশন অন দ্য রাইটস অফ দ্য চাইল্ড’-এর ৩১ নম্বর ধারা অনুযায়ী কোনও শিশু ও কিশোর তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী খেলাধুলো (ফান) করতে পারবে। তাতে বাধা দেওয়া যাবে না। সেই অনুযায়ী সপ্তাহে পাঁচ দিন শিশুদের খেলতে দিতে হবে। বাকি দু’দিন মাঠ পরিচর্চা করতে হবে। সেই সময় কেউ খেলতে পারবে না।