কৌশানী বলেন, ‘গত বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে আমি মুকুল রায়ের কাছে ৫৫ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছিলাম। সেই মুকুল রায় এখন সোম, বুধ ,শুক্র বিজেপিতে থাকে আর মঙ্গল, বৃহস্পতি,শনি তৃণমূলে থাকে। পরের সপ্তাহে কোন কোন দলে যাবেন তা রবিবার চিন্তা করেন।’
কৃষ্ণনগর উত্তরে মুকুলের জেতা নিয়ে কটাক্ষ করতে শোনা যায় তৃণমূলের এই তারকা মুখকে। কৌশানী বলেন, ‘কৃষ্ণনগর উত্তরের মানুষ এখন বুঝতে পারছে তাঁরা কী ভুল করেছে। তাঁরা এখন পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে চাইছে। বিরোধীরা টিআরপি পাওয়ার জন্য আমাদের বিরুদ্ধে কুৎসা অপপ্রচার করছে। যদিও তাতে কোন লাভ হবেনা। হাওড়ায় তৃণমূল জিতে বসে আছে।’
এদিন তৃণমূল প্রার্থীদের হয়ে একাধিক রোড শোতে অংশগ্রহণ করেন কৌশানী। আমতার বেতাই থেকে নওপাড়া পঞ্চায়েত অফিস পর্যন্ত রোড শো করেন কৌশানী। মুখার্জীর সঙ্গে ছিলেন আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমতা ২ নং ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের প্রার্থীরা।
সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতে দেখাও যায় তাঁকে। টলিউড অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘৮ জুলাই ব্যালট বাক্সে বড় খেলা হবে। আর সেই খেলায় তৃণমূল জয়লাভ করবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস কারও কাছে মাথা ঝোঁকায় না। শুধুমাত্র মানুষের কাছে মাথা নত করে তৃণমূল।’
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন আগে ফের চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছিলেন বিধায়ক মুকুল রায়। হঠাৎ মুকুলের দিল্লি যাত্রা ঘিরে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। দিল্লিতে গিয়ে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি দেখা করার চেষ্টা করছেন বলে জল্পনা শোনায়। তাৎপর্যপূর্ণভাবে মুকুলকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি বিজেপিতেই আছি। তৃণমূলে কোনও দিন যাইনি।’ এমনকী বাংলা থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করার কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। তৃণমূলের সঙ্গে মুকুলের দূরত্ব বাড়লেও তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান এখনও স্পষ্ট নয়। আগামী দিনে তিনি কোন ফুলে থাকেন, সেটাই এখন দেখার। মুকুলের রাজনৈতিক অবস্থানের দিকে লক্ষ্য রাখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও।