West Bengal News : ব্যারাকপুর কাণ্ডের ছায়া এবার মালদা জেলাতে। ঠিক একই কায়দায় সোনার দোকানে ডাকাতি করতে হানা দিল একদল ডাকাত। আর ব্যারাকপুরের ঘটনার মতোই ডাকাতিতে বাধা দিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ওই সোনার দোকানের মালিক। সেই সঙ্গে ডাকাত দলটিকে ধাওয়া করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক সিভিক ভলান্টিয়ারও। তাঁর নাম মনিরুল বলে জানা গিয়েছে।
ভর সন্ধ্যায় মালদা জেলার চাঁচলের মালতীপুরে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যে বেলায় আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সোনার দোকানে ডাকাতি করতে আসে বেশ কিছু দুষ্কৃতী। সোনার দোকানের ভিতরে ঢুকে লুটপাট চালাতে থাকে ওই ডাকাত দল।
সঙ্গে সঙ্গে ডাকাত দলকে বাধা দিতে যান ওই দোকানের মালিক। তখনই গুলি চালায় এক ডাকাত। সেই সময় গুলিবিদ্ধ হন দোকানের মালিক গৌতম সেন। এরপর এলাকার মানুষ ডাকাতদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ওই ডাকাত দলের সদস্যরা বোমা ছুঁড়তে ছুঁড়তে এলাকা ছেড়ে পালায় বলে স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেছেন।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসেছে চাঁচলের এসডিপিও -র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। আহত সোনার দোকানের মালিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা মুকেশ দাস এই বিষয়ে বলেন, “ডাকাত দলটিতে মোট ৭ থেকে ৮ জন ছিল। প্রত্যেকের মুখ কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। তারা বাংলা হিন্দি দুই ভাষাতেই কথা বলছিল। যখন এই সোনার দোকানে ঢুকে ওরা লুটপাট চালাতে শুরু করে, তখন এলাকার বাসিন্দারা খবর পেয়ে প্রায় ৫০ জন মতো জড়ো হয়ে যান। আর তখনই ডাকাত দল পালানোর চেষ্টা করে। পালাতে পারবে না দেখে ওরা ভিড় লক্ষ্য করে ২ টি বোমা ছোঁড়ে ও শুন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। তাতেই ওরা পালাতে সক্ষম হয়।”
দোকান মালিকের শাশুড়ি বলেন, “আমি বাড়ি থেকে গুলির আওয়াজ পেয়ে ছুটে আসি। এসে দেখি দোকানের এক কর্মচারী রক্তাক্ত অবস্থায় বসে রয়েছে। তাঁর হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে ডাকাতরা।”
এদিকে, সূত্রের খবর ক্ষেমপুর অঞ্চলের দিক দিয়ে ওই ডাকাতরা পালানোর সময় সিভিক ভলান্টিয়ার মনিরুল তাদের আটকানোর চেষ্টা করলে তাঁকেও গুলি করে ও খুন করে পালিয়েছে ডাকাতরা। তাঁর বাড়ি ধানগাড়া এলাকায়। ওই সিভিক ভলান্টিয়ার চাঁচল থানাতেই কর্মরত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ডাকাতদের সন্ধানে চিরুনি তল্লাশিতে নেমেছে পুলিশ।