প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর মতো বিজেপি’র শীর্ষ নেতারা এ রাজ্যে ভোট প্রচারে এসে সিএএ লাগু করার আশ্বাস দিয়ে গিয়েছেন। গত লোকসভা ভোটে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ এবং নদিয়ার রানাঘাট লোকসভা আসনে বিজেপি’র নজরকাড়া ফলাফলের পিছনে সিএএ-র প্রতিশ্রুতি অনুঘটকের কাজ করেছিল। বিধানসভা ভোটেও মতুয়া অধ্যুষিত এলাকায় ভালো ফল করেছে বিজেপি। কিন্তু কেন্দ্র সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে না পারায় মতুয়াদের মধ্যে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, সেটাকে কাজে লাগিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি’র পালের হাওয়া কাড়তে চাইছেন অভিষেক।
মতুয়াদের উদ্দেশে তাঁর সতর্কবাণী, ‘আপনাদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। এই ফাঁদে পা দেবেন না। আপনারা এই দেশের নাগরিক। প্রধানমন্ত্রীর যতটা অধিকার এই দেশের উপর, মতুয়া ভাইবোনেদেরও অধিকার ততটাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার থাকতে সেই অধিকার থেকে কেউ বঞ্চিত করতে পারবে না।’
প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, ‘বলছে, ১৯৭২ সালের আগের কাগজ আনতে হবে। আগে প্রধানমন্ত্রী নিজে ‘৭২-এর আগের কাগজ দেখান। তারপর না হয় দেশবাসীর কাছ থেকে চাইবেন। ক্ষমতায় রয়েছেন বলে হাতির পাঁচ পা দেখেননি। প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন বলে যা ইচ্ছা করবেন ভাবলে, মানুষের হাতেও কিন্তু ইভিএম-এর বোতাম থাকবে। গণতন্ত্রে শাসক নয়, খেটে খাওয়া মানুষই শেষ কথা বলেন।’
পাল্টা রাজ্য বিজেপি’র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘সিএএ কেন হচ্ছে না, ওরা যদি সেই প্রশ্ন করে তাহলে আমি ওঁদেরকে বলব, আপনারা দয়া করে একবার দাঁড়িয়ে বলুন যে আমরা সিএএ চাই। মতুয়াদের নাগরিত্বের দাবিকে তারা সমর্থন করে কি না, সেটা আগে বলুন। তা না হলে এটা বলুন, বড়মা সহ গোটা মতুয়া সমাজ নাগরিকত্বের যে দাবি জানিয়ে আসছে সেটা তাদের ভুল ছিল।’
সম্প্রতি মতুয়াদের প্রধান তীর্থক্ষেত্র ঠাকুরনগরে গিয়ে বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের অনুগামীদের বাধার মুখে পড়ে মন্দিরে ঢুকতে পারেননি অভিষেক–এমন অভিযোগ তোলে তৃণমূল। সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করে অভিষেক বলেন, ‘আমি এই বাংলার ছেলে। আমাকে বলছে, মন্দিরে ঢুকতে গেলে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে আসতে হবে। যার হাতে গোধরার রক্ত লেগে তার পা চাটছে।’ তাঁর প্রশ্ন, ‘শুভেন্দু অধিকারীকেও কি মন্দিরে ঢোকার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে আসতে বলা হয়েছে?’