তাঁর কথায়, এভাবে দোষীরা সাজা না পেলে খড়্গপুরে আবার হিংসা বাড়বে। পঞ্চায়েত ভোট জেতার জন্যই কি খালাস করে দেওয়া হল মাফিয়াদের? প্রশ্ন তোলেন দিলীপ ঘোষ। অন্যদিকে, সারা রাজ্যজুড়ে বোমা বাজি হচ্ছে, এখনও প্রচুর জায়গায় বোম বন্দুক আছে।
এ প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “পুলিশের এগুলো বার করা উচিত খুঁজে। বোম বন্দুক উদ্ধার না হলে পঞ্চায়েত ভোট রক্তাক্ত হবে, অনেক জীবন হানি হবে।” তাঁর মতে অনেক জায়গায় আবার সিভিক পুলিশ দিয়ে বোমা রেখে আসা হচ্ছে লোককে ভয় দেখানোর জন্য। সেন্ট্রাল ফোর্স দিয়ে সমস্ত বোমা উদ্ধার করা উচিত।
পাশাপাশি তাঁর মতে, একাধিক জায়গাতেই তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল এর জন্য খুন হচ্ছে। কোচবিহারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপর আক্রমণ করা হচ্ছে। বোঝাই যাচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে লোক নিয়ে এসে লোকসভার বিধানসভা পঞ্চায়েত সমস্ত ভোট করা হয়। নাম না করে উদয়ন গুহকে গুণ্ডা বলে আক্রমণ দিলীপ ঘোষের।
তাঁর কথায়, সিতাই, শিতলকুচি, দিনহাটা সবসময় উপদ্রত এলাকা। লোকসভার আগে আমাকে দু বছর ধরে ওখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বারবার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। ওখানে বিজেপি এবারে মনোনয়ন জমা দিয়েছে। ওরা জানে টিএমসিকে লোক ভোট দেবে না তাই জোর করে ভোট পাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে, ভয় দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে শোনা যায় রাজ্যের শাসক শিবিরের দুর্নীতির কথা। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের দাবি, “এ রাজ্যে ঐতিহাসিক দুর্নীতি রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যদি এক গলা গঙ্গা জলে দাঁড়িয়ে যদি বলেন বিজেপি চোর তাহলেও কেউ বিশ্বাস করবে না। কারণ তার ডানদিক বামদিক সবদিকেই চোরেরা ভর্তি।”
