জানা গিয়েছে, হলদিয়া বন্দরে ৪০০ কোটি বিনিয়োগ করতে চলেছে আদানি। বুধবার হলদিয়া বন্দরের প্রশাসনিক ভবনে মৌ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ১লা জুলাই থেকে জায়গা হস্তান্তরের কাজ শুরু হবে। আগামী মাস থেকে শুরু হবে কাজ। ৩০ মাসের মধ্যে হলদিয়া বন্দরের ২ নম্বর বার্থে আমদানি ও রপ্তানি শুরু হবে বলে জানান আদানি গ্রুপের বিজনেস হেড প্রশান্ত কুমার পাত্র।
এদিন মৌ চুক্তি স্বাক্ষরের সময় উপস্থিত ছিলেন হলদিয়া বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান অমলকুমার মেহেরা, আদানি গ্রুপের বিজনেস হেড প্রশান্ত কুমার পাত্র সহ অন্যান্যরা। আগামীদিনে হলদিয়া বন্দরে বানিজ্যিক উন্নয়ন ঘটবে বলে আশাবাদী হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ।
হলদিয়া বন্দরে বিনিয়োগ করার জন্য নিয়ম মেনে প্রাথমিক চুক্তি আগেই সেরে রেখেছিল আদানি গোষ্ঠী। পণ্য আমদানি রপ্তানির জন্য ওল্ড-২ বার্থ আদানি গোষ্ঠীকে দেওয়ার কথা হয়। তবে হিন্ডেনবার্গ বিতর্ক শুরু হওয়ার পর থেকে এই বিনিয়োগ নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে। এমনকি, কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আঙুল তোলার সময় আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেও ঘুরিয়ে কটাক্ষ করতে শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীকেও।
হলদিয়া বন্দরে ওল্ড-২ বার্থ পরিকাঠামোগত উন্নয়ন এবং আমদানি-রপ্তানি কাজে আদৌ আদানি গোষ্ঠী অগ্রসর হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয় ব্যবসায়িক মহলে। তবে শেষমেশ কাজ শুরু হওয়ার ঘোষণা হওয়ায় খুশি বন্দর কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানির ছেলে করণ আদানি। তাঁর সঙ্গে বৈঠক হয় রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদীরও। প্রায় ৪০ মিনিট নবান্নে বৈঠক করেন করণ আদানি। হলদিয়া বন্দরের পাশাপাশি তাজপুর বন্দরেও আদানি গোষ্ঠীর বিনিয়োগ নিয়ে একটি সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২০২১ সালের ১লা অক্টোবর হলদিয়া ডকের ২ নম্বর বার্থ আধুনিকিকরণের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। সেখানে মোট তিনটি বিডারের মধ্যে টেন্ডার পাওয়ার সুযোগ পায় আদানিরাই। এমনকি গত বছর বিজয়া সম্মিলনিতে তাজপুর বন্দর গড়ে তোলার অনুমতি পত্র আদানি গোষ্ঠীর কর্তা ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।