সিআইডিও তদন্ত চালিয়ে যাবে। সেনাবাহিনীও তাদের মতো তদন্ত চালিয়ে যেতে পারে। মূল ঘটনা সামনে আনতে সেনাবাহিনীর বড় ভূমিকা রয়েছে। তবে সেনাবাহিনীর তদন্তের মধ্যে আদালত ঢুকবে না। কিন্তু রাজ্য ও কেন্দ্রের সব এজেন্সিকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সব রকম সহযোগিতা করতে হবে, সমন্বয় রেখে চলতে হবে। বিচারপতি মান্থার সতর্কবার্তা, দেশের নিরাপত্তায় সব পক্ষকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। সিবিআই ও সিআইডিকে অনুসন্ধান ও তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে আগামী শুনানিতে। সেনাবাহিনী মনে করলে রিপোর্ট দিতে পারে। ২৬ জুলাই হবে পরবর্তী শুনানি।
এ দিন সিআইডির তরফে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দিয়ে সরকারি কৌঁসুলি অমিতেষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা যা পেয়েছি তাতে অভিযোগ গুরুতর। সিরিয়াস ইস্যু। আমাদের তথ্য অনুযায়ী ইতিমধ্যে সেনাবাহিনী অভিযুক্ত এক জনকে চিহ্নিত করেছে। কিছু পদক্ষেপ করেছে সেনা। কিন্তু গ্রেপ্তার নাকি আটক, সেটা স্পষ্ট নয়।’
আদালতে রাজ্যের আরও বক্তব্য, এই ঘটনা কতটা গভীরে, সেটা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, অসম-সহ বহু রাজ্যের যোগ আছে এই ঘটনায়। মূলত ভিন রাজ্যের বাসিন্দাদের জাল ডোমিসাইল সার্টিফিকেট-সহ জাল নথি তৈরি করে দিয়ে এ রাজ্যের বাসিন্দা বলে সেনাবাহিনীর নিচুতলায় কাজে ঢুকিয়ে দেওয়ার চক্রের হদিশ মিলেছে।
হুগলির মগরার বাসিন্দা বিষ্ণু চৌধুরী নামে যে ব্যক্তি গুরুতর অভিযোগে মামলা করেছেন, তাঁর সম্পর্কেও বেশ কিছু তথ্য হাইকোর্টে দিয়েছে সিআইডি। মামলাকারীর বিরুদ্ধেও যে বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে, আদালতকে জানিয়েছে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা। ওই ব্যক্তি কয়েক মাস আগে হাইকোর্টে মামলা করে জানান, ব্যারাকপুরে সেনাবাহিনীতে কর্মরত এক জওয়ান-সহ দুই ব্যক্তির মাধ্যমে একটি চক্র সেখানে সক্রিয়।
তারা জাল নথি তৈরি করে উত্তরপ্রদেশ, বিহারের মতো বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা যুবকদের এ রাজ্য থেকে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদে চাকরির সুযোগ করে দিচ্ছে। তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী, ওই চক্রের মাধ্যমে অন্তত দু’জন পাকিস্তানি চর বর্তমানে সেনাবাহিনীতে ঢুকে বসে রয়েছে। সেই অভিযোগ পাওয়ার পরেই বিচারপতি মান্থা তড়িঘড়ি সব তদন্তকারী সংস্থা-সহ সেনাবাহিনীকে মামলায় যুক্ত করে তাদের কাছে এই সংক্রান্ত কোনও তথ্য থাকলে তা পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।