এদিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময়ের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠে আদালতে। সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, পর্ষদের বিভিন্ন পদে দশ বছর ছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে নতুন তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। টাকা লেনদেনের তথ্যও মিলেছে। নিয়োগপত্র বিকৃতি করার বিষয়েও কল্যাণময় যুক্ত ছিলেন। যদিও তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন, আমার মক্কেল দশ বছর নিজের যোগ্যতায় পর্ষদে থেকেছেন। কারও দয়ায় ছিলেন না।
এদিন কল্যাণময় ছাড়াও, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এসএসসি-এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, নাইসার প্রাক্তন ডিরেক্টর নীলাদ্রি দাস, এসএসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা অশোক সাহা, এজেন্ট চন্দন মণ্ডলকে পেশ করা হয় আদালতে। অনলাইনে জেল থেকে ছিলেন শান্তিপ্রসাদ সিনহাও। পার্থর তরফে আইনজীবীরা কোনও পিটিশন জমা দেননি।
তবে তাঁর আইনজীবীরা শারীরিক পরিস্থিতির বিষয়ে বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আদালত চত্বর থেকে বেরোনোর সময় মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন পার্থ। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সুস্থতা কামনা করি, তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।’ যদিও পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে কোনও উত্তর দেননি প্রাক্তন মন্ত্রী। অন্যদিকে, এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের আইনজীবী আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘আমার মক্কেল ২২৮ দিন জেলে রয়েছেন। শারীরিক সমস্যার কারণে গরমে কষ্ট পাচ্ছেন। যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়া হোক। তা হলে সুস্থ ভাবে বাঁচতে পারেন।’
এদিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একাধিক তথ্য পেশ করেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফে আইনজীবীরা বলেন, ‘কল্যাণের বিরুদ্ধে নতুন করে প্রমাণ মিলেছে টাকা লেনদেনের। অন্যান্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে সেই সব তথ্য উঠে এসেছে। নিয়োগপত্র বিকৃতি করারও প্রমাণ মিলেছে।’ এ প্রসঙ্গে ওএমআর শিট প্রস্তুত এবং মূল্যায়ণকারী সংস্থা নাইসার প্রাক্তন কর্তা নীলাদ্রি দাসের আইনজীবীর যুক্তি, ‘চুক্তি অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে। ওয়ার্ক অর্ডারের ভিত্তিতে কাজ করেছেন আমার মক্কেল।’ অভিযুক্তদের আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর বিচারক এদিন ফের কেস ডায়েরি দেখতে চান। তা দেখে তিনি যে সন্তুষ্ট, সেই অভিমতও ব্যক্ত করেন।