মেট্রোর কাজে জন্য ওই লেনে যাতে যাতায়াতে বিঘ্ন না ঘটে তার বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি হচ্ছে। বাইপাসের পূর্ব দিকের, অর্থাৎ রুবিগামী লেনে টেগোর পার্ক এবং ক্যালকাটা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের মাঝে খালের উপর ১১ মিটারের একটি কালভার্ট তৈরি হয়েছে। সায়েন্স সিটিগামী গাড়ি লেন বদল করে পুরোনো রুবিগামী লেন ধরে এগোবে। আর রুবিগামী গাড়ি এগোবে ওই কালভার্ট পেরিয়ে-এমনটাই পরিকল্পনা।
কলকাতা মেট্রোর নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর শাখার নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত ৫.১ কিলোমিটার অংশের কাজ শেষ। রুবি থেকে মেট্রোপলিটন পর্যন্ত চার কিলোমিটার অংশে কাজ চলছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই এই অংশের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে নির্মাণকারী সংস্থার। জুনের শেষে কাজের অগ্রগতি দেখে আরভিএনএল কর্তারা বুঝতে পারছেন গতি না বাড়ালে ডেডলাইনের আগে কাজ শেষ হবে না।
ইঞ্জিনিয়ারদের মতে কাজে গতি বাড়ানো এবং সময়ে কাজ শেষ করার একমাত্র উপায় ইএম বাইপাসের সায়েন্স সিটিগামী লেনের পুরোপুরি ট্র্যাফিক ব্লক নেওয়া। এই বিষয়ে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছে আরভিএনএল। সংস্থার ইঞ্জিনিয়াররা জানাচ্ছেন, মেট্রোর ট্র্যাক পাতার জন্য প্রয়োজনীয় ভায়াডাক্ট রুবি থেকে মেট্রোপলিটন পর্যন্ত অংশে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে।
রুবি মোড় পার করে মেট্রোপলিটনের দিকে একটি জায়গায় শুধু ৭৬ মিটারের ব্যবধান রয়েছে। সেখানে ভায়াডাক্ট তৈরি করতে হবে। সেটি দ্রুত তৈরি করতে বাইপাসের রুবি থেকে সায়েন্স সিটিগামী লেনের কিছুটা অংশ পুরোপুরি বন্ধ রাখতে হবে। কাজ শুরু হলে প্রথমে একটি পিলার তৈরি করা হবে। তার পর সেখানে একটি গার্ডার স্প্যান তৈরি হবে। তাই বাইপাসের যাত্রাপথ বদলের পরিকল্পনা।
২০২২-এর অগস্টে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ, কলকাতা পুরসভা, কেএমডিএ এবং আরভিএনএল-এর প্রতিনিধিরা মিলিত ভাবে এই এলাকা পরিদর্শনও করেন। সেই সময়ে রাজ্য প্রশাসন এখানে মেট্রোর কাজে অনুমতিও দিয়েছিল। সেই কাজ শুরু করে দিতে চাইছে আরভিএনএল।