Shopping Mall Offer: বিনামূল্যেই হরেক মাল! জামাকাপড় থেকে বই, ‘বিনা পয়সার শপিং মল’-এর পসরায় তাক বিরাটির – birati couple arrange free of cost shopping mall for financially weak people initiative praised by locals


শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঝাঁ চকচকে বিল্ডিংয়ে সারি সারি কাচে ঘেরা শোরুম আর দারুণ সব দামী জিনিসে ঠাসা সেসব দোকান। তথাকথিত শপিং মলের পরিচিত ছবির থেকে বিনা পয়সার শপিং মল-এর ছবিটা একদম আলাদা, কিন্তু পসরায় কমতি নেই। জেলার দুঃস্থ পড়ুয়া ও আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া বাসিন্দাদের জন্য অভিনব উদ্যোগ সোমা মজুমদার দে ও তাঁর স্বামী অমরেশ মজুমদারের।

কর্মসূত্রে বিদেশে বসবাস করলেও, দেশের টানে বারংবার মানুষের জন্য কিছু করার তাগিদ নিয়ে ছুটে আসেন মজুমদার দম্পতি। তাদের ছোট্ট প্রচেষ্টাকে অভিনব উদ্যোগ বললে কম বলা হবে। রেলপারের আর্থিকভাবে পিছিয়ে পরা বাসিন্দাদের জন্য তাঁরা আয়োজন করেছিলেন ‘বিনাপয়সার শপিং মল’-এর। আর সেই শপিং মল থেকেই নিজেদের পছন্দের জামা কাপড় বই খেলনা আরও অনেক কিছুই হাসিমুখে আনন্দের সঙ্গে নিয়ে গেলেন বিরাটির রেলপার এলাকার মানুষজন। সেখানে বাদ যায়নি শিশুরাও। কারণ আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারের ঝাঁ চকচকে শপিংমলে প্রবেশের তেমন সুযোগ থাকে না । ফলে এদিন ছিল তাদের সাধ পূরণের দিন।

Alipurduar News : ওরাও শিক্ষার আলো পাক! দুঃস্থ পড়ুয়াদের জন্য সঞ্চিত অর্থ তুলে দিলেন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মী

সোমা মজুমদার দে ও অমরেশ মজুমদার কর্মসূত্রে বাইরে থাকলেও, করোনার সময় দীর্ঘদিন দেশেই আটকে পড়েছিলেন। সেই সময় নিজেদের সঞ্চিত অর্থে প্রায় পঞ্চাশ দিন দুঃস্থ মানুষদের সাহায্যে বাড়িয়ে দেন হাত। স্থানীয় মানুষের কষ্ট রীতিমত নাড়িয়ে দেয় এই প্রবাসী দম্পতিকে। ইচ্ছে থাকলেও যে উপায় হয় তা আরও একবার প্রমাণ করেন বিরাটির এই বাসিন্দারা। কোভিডের সময় থেকেই নানা ভাবে মানুষের সেবার তাগিদে কিছু না কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেন তাঁরা। কখনও পিছিয়ে পড়া দুঃস্থ মানুষ ও শিশুদের সাময়িক আনন্দ দিতে পাশাপাশি তাদের পাশে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে নানা কর্মসূচির আয়োজন করেন মজুমদার দম্পতি। তার মধ্যে যেমন থাকে রক্তদান, তেমনি পরিবেশ সচেতনতার বার্তা নিয়ে করা হয় বৃক্ষরোপণও। তবে এদিন বিদেশ থেকে নিয়ে আসা বিভিন্ন জামা কাপড়, পোশাকের পসরা নিয়ে এই দুঃস্থ মানুষদের জন্য সাজিয়ে তোলা হয় বিনে পয়সার শপিং মল।

Sonajhuri Haat: ঠিকানা বদলাল সোনাঝুরি হাট! কোপাইয়ের তীর থেকে সোজা স্মার্ট সিটি-তে

আলো ঝলমলে বিরাটির দ্বিজকাননে, সারি সারি সাজিয়ে রাখা ছিল নামিদামি ব্র্যান্ডের পোশাক। মহিলা থেকে শিশু সকলের জন্যই ছিল এই সুবিধা। নিজেরা নিজেদের পছন্দ মতো, মাপ মতো পোশাক বেছে নিলেন রেলপারের বস্তি এলাকার মানুষজন। শিশুরা পোশাকের পাশাপাশি খেলনা বই খাতাও নিয়ে গেলেন মজুমদার দম্পতির এনজিও থেকে। শুধু সোমাদেবী ও অমরেশ বাবুই নন, তাদের মেয়ে আয়ুষী ও আরোহীও এই উদ্যোগে সামিল হন। এই উদ্যোগে এদিন হাসি ফোটে এলাকার দুঃস্থ মানুষের মুখে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *