সে খেলা সেরে বাড়ি ফেরার পথে পুকুরে স্নান করছিল বলে জানা গিয়েছে। আর তা করতে গিয়েই তাঁর মৃত্যু হয়, এমনই অনুমান পুলিশের। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় রহড়া থানার পুলিশ। আজ সকালে ফের ওই একই পুকুর থেকে আরও এক ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে রহড়া থানার পুলিশ।
মৃতের নাম মেঘদ্বীপ কুন্ডু (২০)। সে রহড়া রামকৃষ্ণ মিশন বি সি কলেজের বিএসসি বিভাগের ছাত্র বলে জানা গিয়েছে। মৃতের মামা আশুতোষ কর বলেছেন, ‘মঙ্গলবার রাতে বাড়িতে ঘুমানোর পর বুধবার মেঘদ্বীপ ভোরবেলা বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল, কেনই বা সেই পুকুরের কাছে গিয়েছিল, সঙ্গে কেউ ছিল কিনা, এই সমস্ত বিষয় সম্পূর্ণ অজানা আমাদের’।
তবে পরিবারের পক্ষ থেকে মৃত মেঘদ্বীপ কুন্ডুর মামা আরও বলেছেন, ‘বেশ কিছুদিন যাবৎ মানসিক অবসাদে ভুগছিল মেঘদ্বীপ। পড়াশোনা শেষে ভবিষ্যৎ কি হবে, তা নিয়ে সর্বক্ষণই চিন্তা করত সে’। এখন রহড়া থানার পুলিশের তদন্তে কি উঠে আসে এটাই দেখার। তবে একই পুকুর থেকে পরপর দুটি মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এই ঘটনায় রহস্যের গন্ধও পাচ্ছেন অনেকেই। পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে এই দুই ঘটনার মধ্যে কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা। মৃত দুই ছাত্র নিজেদের মধ্যে পূর্ব পরিচিত কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাড়ির সদস্যদের পাশাপাশি পাড়া প্রতিবেশী ও মৃতদের বন্ধুদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে, পর্ণার্ঘ্য সাহার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সাঁতার খুব একটা ভালো জানত না ওই ছাত্র। মঙ্গলবার ওই ঘটনার খবর পেয়ে রহড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সেই সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছন খড়দহের পুরপ্রধান নীলু সরকারও।
পুকুরে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালানোর পর রাতে পুকুর থেকে পর্ণার্ঘ্যর দেহ উদ্ধার হয়। একমাত্র ছেলের এহেন মর্মান্তিক মৃত্যুর খবরে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এবার বুধবার সকালেও একই কাণ্ডে শিহরিত হয়ে উঠেছেন এলাকার বাসিন্দারা।