ঘটনার সূত্রপাত গত সোমবার। ওই দিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ। পেশায় পরিচারিকা কল্যাণী বাউড়ি কাজ করে বেরোচ্ছিলেন। অভিযোগ সেই সময় তাঁকে ধাক্কা মারে পুলিশের একটি গাড়ি। ধাক্কায় মাথায় গুরুতর আঘাত পান কল্যাণী বাউড়ি। অভিযোগ, এরপর তাঁকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও দেওয়া হয়নি পর্যাপ্ত চিকিৎসা। শুধুমাত্র মাথায় ব্যান্ডেজ করে ফেলে রেখে দেওয়া হয়। এরপর বর্ধমানে স্থানান্তরিত করতে বলা হয়। যদিও মৃতার পরিজনেরা তাঁকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। আজ সেখানেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার।
এরপরেই এদিন দেহ ভগৎ সিং মোড়ে নিয়ে এসে অবরোধ ও বিক্ষোভ শুরু করেন মৃতার পরিবার পরিজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃতার আত্মীয় পিয়া বাউড়ির অভিযোগ, গোটা ঘটনায় পুলিশের তরফে কোনওরকম সহযোগিতা করা হয়নি। শুধু ফোনে আশ্বাস দিয়ে দিয়েছে। পুলিশই মেরেছে বলে অভিযোগ মৃতার আত্মীয়ার। এই ঘটনার নেপথ্যে যে পুলিশ কর্মী আছেন, তাঁকে যেন চাকরি থেকে বরখাস্ত করা, এমনটাই দাবি তাঁর। দাবি না মানলে আন্দোলন চলবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
এদিকে বিক্ষোভ অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আসানসোল দক্ষিণ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। নামানো হয় ব়্যাফ ও কমব্যাট ফোর্স। একইসঙ্গে ঘটনাস্থলে যান আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি দেবরাজ দাস। তিনি ঘটনায় তদন্তের আশ্বাস দেন। একইসঙ্গে এই ঘটনায় দোষীর উপযুক্ত শাস্তির আশ্বাসও দেন তিনি। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনওরকম ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়নি পুলিশের তরফে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় এক কিশোরের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় নদিয়ার ধানতলায়। জানা গিয়েছে, গরুচোর ধরতে গিয়েছিল পুলিশ। তারপরেই ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ধানতলায়। পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় এক কিশোরের মৃত্যু হয়। এই নিয়ে তুমুল অশান্তি শুরু হয়েছে এলাকায়। পুলিশের সঙ্গে কার্যত জনতার খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়।