BJP leader Dipak Samantas hanging body recovers from his house in Sabang


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপির বুথ সভাপতি দীপক সামন্তের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২৯ জুন, ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানার ৯ নম্বর বলপাই অঞ্চলের পানিথর বুথে এলাকায়। মৃত দীপক সামন্তের বয়স ৩৫ বছর। মৃতের পরিবারের দাবি দীপককে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে! যদিও বিজেপি নেতার খুনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। এদিকে সবং-এর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের কাছে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। 

এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, “এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। পারিবারিক বিবাদের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। বিজেপি এই নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। এসব মিথ্যা বলে বিজেপি গোটা বাংলায় রাজনীতি করছে। আমরাও চাই পুলিস তদন্ত করুক। যদিও তৃণমূলের কেউ যুক্ত থাকে, তাহলে আমরা বাধা দেব না।” 

আরও পড়ুন: Governor CV Ananda Bose: ‘গ্রাউন্ড জিরো গর্ভনর হতে চাই’, কমিশনকে কড়া বার্তা রাজ্যপালের

আরও পড়ুন: WB Panchayat Election 2023: ভোটের মুখে সিপিএম প্রার্থীকে পদ্ম শিবিরে টেনে চমকে দিল বিজেপি!

ইতমধ্যেই ঘটনাস্থলে রয়েছেন সবং থানার পুলিস আধিকারিকরা। কী কারণে মৃত্যু হল ওই বিজেপি বুথ সভাপতি, এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছ পুলিস। সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব বিজেপি। এদিকে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, “দেখুন পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে অনেক বিজেপি কর্মীকে খুন করে হাই-টেনশন তারে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। একেবারে মাওবাদী কায়দায় খুন করত। যারা এক সময় মাওবাদী পতাকা নিয়ে রাজনীতি করত, তারাই এখন তৃণমূলের সঙ্গে মিশে গিয়েছে। এবং অনেক মাওবাদী এখন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি হয়েছে। তাই দীপকের মতো নেতাকে আমরা হারালাম। এর আগেও দীপককে একাধিক বার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। ওর বাড়িতে থান-কাপড় পাঠানো হয়েছিল। সেটা নিয়ে আমরা আগেও অভিযোগ করেছিলাম। তৃণমূল ভয় দেখাতে চাইছে। আসলে এখানে আইনের শাসন নেই। অতীতেও এই রাজ্যে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়নি। এবারও হবে না। এই রাজ্যে আতঙ্কের আবহ তৈরি করা হচ্ছে।” 
 
এদিকে নিহত দীপকের পরিবারের সদস্যরা জানান, অঞ্চল সভাপতি মালিক মাইতি-সহ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা প্রতিদিন তাঁকে খুনের হুমকি দিত। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ওই বিজেপি বুথ সভাপতি বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যান। ছেলেকে দেখতে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা খোঁজখবর শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর বাড়ির ভিতর থেকে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় তাঁর। বিজেপির অভিযোগ, বিজেপি করার অপরাধে চাষবাস-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ওই বুথ সভাপতিকে বয়কট করা হয়। পাশাপাশি পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির হয়ে প্রচার করতেও বাধা দেওয়া হয়। এমনকি তৃণমূল নেতৃত্বরা তার স্ত্রীকে হুমকি দেয় বলেও দাবি। তারপরেই মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়েছে।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *