তদন্তে জানা গিয়েছে, মাস তিনেক আগে ওই লগ্নির ফাঁদেই পা দিয়েছিলেন বছর ষাটেকের ব্যবসায়ী শেখ এসানুর রহমান। তাঁর কাছ থেকে লগ্নির জন্য ৬৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকা নেয় অভিযুক্তরা। তার পরেই তারা যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় ওই বৃদ্ধ ব্যবসায়ীর সঙ্গে। পুলিশের কাছে এসানুর অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে কলিম আহমেদ নামে এক জনকে কলকাতা থেকে গ্রেপ্তার করেন। কলিমকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন আরও দু’জনের কথা। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, তাদের এক জনের নাম সুবীর কুমার।
তবে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েও দু’জনকে পাওয়া যায়নি। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, সুবীর ছাড়া অন্য অভিযুক্তর নাম অজয় দেববর্মন হলেও কলিম তার অন্য নাম দিয়েছিলেন, তবে সে দিয়েছিল অজয়েরই মোবাইল ফোন নম্বর। গোয়েন্দারা খোঁজ করে শেষমেশ জানতে পারেন, নম্বরটি অজয় দেববর্মনের, তার বাড়িও সুবীর কুমারের মতো ত্রিপুরায়। সেই মতো আগরতলায় যান কলকাতা পুলিশের তদন্তকারীরা। সেখানে গিয়ে জানা যায়, অজয় আগরতলা থেকে বেশ কিছুটা দূরে এক জায়গায় গা-ঢাকা দিয়েছে। সেখান থেকেই বুধবার সকাল ৭টা নাগাদ অজয় ও সুবীরকে গ্রেপ্তার কারা হয়।