স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুটি ট্রলারে প্রায় ৩০ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। দুর্ঘটনার মুখে পড়া ট্রলার দুটি থেকে কোনওক্রমে রেহাই পান সেখানে থাকা মৎস্যজীবীরা। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে সাঁতার কেটে শংকরপুরের কাছে তীরে উঠেছেন ওই মৎস্যজীবীরা। ট্রলার দুটিকে সমুদ্র থেকে উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
১৫ জুন থেকে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা মিটে গিয়েছে। তারপর থেকে রুপোলি শস্য শিকারের জন্য দূর সমুদ্র পাড়ি দিয়েছেন মৎস্যজীবীরা। বুধবার আবহাওয়ার অবনতি হয়। প্রচণ্ড ঝড় ও বৃষ্টির কারণে ট্রলার গুলি একসাথে দিঘা মোহনায় ঢোকার চেষ্টা করছিল। তখনই চড়ায় ধাক্কা উলটে যায় ট্রলার দুটি।
দিঘা শংকরপুর ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রত্যেক ট্রলার তৈরির জন্য খরচ হয় ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকা। দীঘা মোহনায় ডেইজিংয়ের কাজ না হওয়ার জন্য মূলত এই ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছে ওই সংস্থা। আজ সকাল থেকেই ট্রলারে অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন মৎস্যজীবীরা।
দিঘা শংকরপুর ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার সময় এই ঘটনা ঘটেছে। সমুদ্র থেকে মাছ ধরে অনেকগুলি ট্রলার একসঙ্গে এসেছিল। দুটি ট্রলার মোহনার চরে ধাক্কা খেয়ে উলটে যায়। এখানকার জলে নাব্যতা কম। দীর্ঘদিন ধরে আমরা ড্রেজিংয়ের দাবি জানিয়ে আসছি। খারাপ আবহাওয়ার কারণেই ট্রলার দুটি তাড়াহুড়ো করছিল। মৎস্যজীবীরা লাইফ জ্যাকেট পরে ছিল। সবাই সাঁতার কেটে উপরে উঠে গিয়েছে। অনেক টাকার ক্ষতি হল। ড্রেজিং না হওয়ার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। আমাদের দাবি, দ্রুত ড্রেজিং করতে হবে।’
সম্প্রতি দিঘা মোহনায় এক অবাক করা ঘটনা ঘটেছিল। দীর্ঘদিন পর দিঘার সমুদ্র থেকে ৭০ কেজি ওজনের শংকর মাছ ওঠে। বিশালাকার শংকর মাছ দেখার জন্য ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে ছিল আগ্রহ। অন্যদিকে দীর্ঘদিন পর দিঘার মোহনায় উঠেছিল কইভোলা মাছ। এই মাছ লক্ষাধিক টাকা দরে বিক্রি হয় বলেই জানিয়েছেন মাছ বিক্রেতারা। সাধারণত এই মাছ বিদেশে রফতানিও করা হয়।