জানা গিয়েছে, ‘আজ সকালে চা বাগানের মধ্যে ওই পতাকার মাথায় একটি কন্ডোম লাগানো অবস্থায় দেখা যায়। বিষয়টি নজরে আসা মাত্র চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। এই বিষয়ে রাজগঞ্জ ব্লকের শিকারপুর চা বাগানের বিজেপি প্রার্থী অলকা কুজুর বলেন, আজ যা হল তা ভাল হল না। শিকারপুর আমাদের দলের অবস্থা যথেষ্টই ভাল। দলীয় পতাকায় নোংরা জিনিস লাগানো ছিল। পতাকাটি পুলিশ নিয়ে গেছে। বেলাকোবা ফাঁড়িতে অভিযোগ করা হয়েছে।’
বিজেপির কিষাণ মোর্চার জেলা সভাপতি নকুল দাস বলেন, ‘আজ সকালে আমাকে আমার দলের নেতারা ফোন করে বিষয়টি জানায়। শিকারপুর চা বাগানে বিজেপির দলীয় পতাকায় কণ্ডোম লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমিও ঘটনাস্থলে আসি। দেখি সত্যিই এই নির্লজ্জ কাজটি করা হয়েছে। আমরা মনে করি এটা তৃণমূল ছাড়া কেউ করেনি। আমরা বেলাকোবা ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করছি।’
বিজেপি নেতা ইসমাইল কুজুর বলেন, ‘আমি সকালে বাড়িতে ছিলাম। আমায় খবর দেয়। এসে দেখি ঝান্ডার ওপরে কন্ডোম লাগিয়ে দিয়েছে। এগুলো করা উচিত নয়। আমরা বিজেপি করি। এখানে বিজেপি ও তৃণমূল দুটো দলই আছে। আমাদের ওপরে এত অত্যাচার কেন? তৃণমলূই এমন কাজ করেছ। ওটের সঙ্গে আমাদের টক্কর। তাই ওটা এমন করেছে বলে মনে হয়। আমরা থানায় অভিযোগ করলাম। থানা থেকে এসে ঝান্ডাটা নিয়ে গেছে।’
প্রসঙ্গত, নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই আরও আক্রমণাত্মক মেজাজের হয়ে উঠছে শাসক-বিরোধী উভয় শিবিরই। একদিকে যেমন বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে, তেমনই প্রায়শই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হচ্ছে বেআইনি অস্ত্র ও বোমা। এছাড়া শাসক ও বিরোধী দলের নেতানেত্রীদের একে অপরের বিরুদ্ধে চলছে গরমাগরম বক্তব্য। তারই মাঝে প্রকাশ্যে এল এই ঘটনা। তবে ঘটনার নেপথ্যে যে বা যাঁরাই থাক না কেন, এটি সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিচয়বাহক নয় বলেই মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।