বিদায়ী পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচিত সদস্য ছিলেন সুমন। স্থানীয়দের দাবি, সারাবছরই নানা কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেন তিনি। এমনকী দলমত নির্বিশেষে মানুষের পাশে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও সাধারণ মানুষের দুয়ারে গিয়ে ভোট চাইছেন না সুমন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে তাঁকে জেতানোর আবেদনও করছেন না এই তৃণমূল প্রার্থী। বছরের অন্যান্য দিনগুলোর মতো এখনও এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদের সমস্যা নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন সুমন। তাঁর বিরুদ্ধে এবার বিজেপি প্রার্থী বাপি সর্দার। কিন্তু তৃণমূল প্রার্থীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিজেপি প্রার্থীর মা। এলাকার সামগ্রিক উন্নয়নের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী মা দীপা সর্দার। এমনকী উন্নয়নের পক্ষে ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন দীপা।
তৃণমূল প্রার্থী সুমন হালদার বলেন, ‘আমি আগামী দিন এলাকার উন্নয়নকেই সব থেকে বেশি প্রধান দেব। উন্নয়ন মানে শুধুমাত্র রাস্তাঘাট বা এলাকায় কল বসিয়ে দেওয়া নয়। উন্নয়ন মানে মানুষের চিন্তাধারার উন্নয়ন, এলাকার পরিবেশের উন্নয়ন। এখানে বিভিন্ন এলাকা জলের সমস্যা ছিল। অনেকটাই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হয়েছে। এখনও বেশ কিছু জায়গায় সমস্যা রয়েছে, আমরা তা মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করব।’
বিজেপি প্রার্থীর মা দীপা সর্দার বলেন, ‘আমার ছেলে বিজেপি প্রার্থী হয়েছে এতে খারাপই লাগছে। কিন্তু এখানে যিনি তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন উনি খুবই ভালো মানুষ। আজ আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। উনি সবসময়ই আসেন। এলাকায় যে উন্নয়ন হয়েছে, সেটা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। উন্নয়নের পাশে সকলের থাকা উচিত।’
পঞ্চায়েত নির্বাচন দুয়ারে কড়া নাড়ছে। তারমধ্যে জেলায় জেলায় ধরা পড়েছে হিংসা ও হানাহানির ছবি। বিরোধী দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধ। সেখানে মথুরাপুরে ধরা পড়া ছবি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।