স্থানীয়দের অভিযোগ, সাধারণ মানুষের বাড়ির ভেতরেও ঢুকেছে জল। সাধারণ মানুষ নাজেহাল হয়ে পড়েছে। রান্নবান্না, দৈনন্দিন কাজকর্মের জন্য প্রভূত সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ঘরে থাকা দায়। পাশাপাশি, স্কুল-অফিস যাত্রীদেরও সমূহ সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, বেশ কিছু বছর ধরে পাশে চড়িয়াল খাল বুজিয়ে ওপর দিয়ে রাস্তা এবং নিচে পাইপ লাইনের কাজ শুরু হয়েছে। কলকাতা পুররসভার তরফে এই কাজ শুরু হয়েছে। যা কারণেই জল এখন পাস হচ্ছে না। একটু বৃষ্টিতে জল জমছে গোটা এলাকায়। সেই জল দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকছে। জলে দ্রুত নেমে যাওয়ার জায়গায় না পাওয়ার ফলেই এই বিপত্তি ঘটছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
যদিও দুদিন আগেই কলকাতা পুরসভার তরফে একটি নতুন পাম্পিং স্টেশনের উদ্বোধন করা হয়। দুদিন আগেই একবালপুরে নতুন পাম্পিং স্টেশন উদ্বোধন করেন কলকাতার মেয়র। এই পাম্পিং স্টেশনের কাজ ৮ মাস আগে শুরু করা হয়েছিল। তবে বর্ষার আগেই পাম্পিং স্টেশনের কাজ শেষ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি খুব শীঘ্রই, উত্তর কলকাতা এলাকায় জলকষ্ট নিরসন করার জন্য ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি চত্বরে নতুন পাম্পিং স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে কলকাতা পুরসভা। আর্মহার্স্ট স্ট্রিটের ঋষিকেশ পার্কে নতুন একটি পাম্পিং স্টেশন তৈরী করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
নিম্নচাপের কারণে গত বুধবার থেকে ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয় গোটা কলকাতা জুড়ে। গত বুধবার ৪০ মিমি বৃষ্টি হওয়ার পরেও দ্রুত জল নেমে যায় কলকাতার একাধিক এলাকায়। মাত্র সাড়ে তিন থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে একাধিক জায়গা থেকে জল নামিয়ে দেওয়া হয়ে। পুরসভা জানায়, বর্ষার আগে থেকে খালগুলি সংস্কার করার কাজে ইতিমধ্যে করেছে সেচ দফতর। এছাড়া নিকাশি নালা সংস্কারের কাজ চলছে সমান তালে করা হয়েছে। কলকাতায় মোট ১৪৪ টি ডিসেলন্টিং মেশিন ব্যবহার করা হয়েছে চলতি বছরে। মূলত ম্যানহোল পরিষ্কার করার জন্য এগুলি ব্যবহৃত হয়েছে। সাফাইয়ের কাজে ১৩ টি জেট কাম সাকশন মেশিনও ব্যবহার করা হয়। ভূ-গর্ভস্থ জল নিকাশি ব্যবস্থা পরিষ্কার করে সাফ করা হয়। এরপরেও কলকাতার কয়েকটি ওয়ার্ডে জল জমে থাকার কারণেই ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা।