ওরা আমাদের জাতি মাটির শত্রু। ডাঃ বিধান চন্দ্র রায় ছলে বলে কৌশলে কোচবিহারকে কলকাতার সঙ্গে যুক্ত করেছেন। কংগ্রেসের কারনে আমাদের এখানাকার মাটি অসম, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গে বিভক্ত হয়েছে। পরে বাম আমলে আমাদের লোকদের মারধর করা হয়েছে। আমাদের জায়গা জমি কেড়ে নিয়েছে। আর তৃণমূল আমাদের সর্বনাশ করছে’।
এরপরেই মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখছি মমতা দিদি আমাদের আলাদা রাজ্যের বিপক্ষে। TMC আমাদের মানুষজনের ওপর সন্ত্রাস চালাচ্ছে। আমাদের মানুষদের হত্যা করছে। এই সরকারের আমলে আমাদের মানুষদের মিথ্যে মামলা দিয়ে জেলে ঢোকানো হচ্ছে। মমতা দিদি আমার জাতি, মাটির শত্রু।
কোচ – রাজবংশী উন্নয়নের বিরোধী। মমতা দিদি বোঝেন না কোচ রাজবংশী জনগনের দুঃখ দুর্দশার কথা। মমতা দিদি বোঝেন না জন বার্লা, মালতি রাভা, শঙ্কর ঘোষ, বিষ্ণু প্রসাদ শর্মার মুখের ভাষা। মমতা দিদি কোচ রাজবংশী মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষায় জল ঢেলে দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন রক্ত দেব, তবুও বাংলা ভাগ হতে দেব না।
রাজ্য ভাগ হতে দেব না। উনি চান না আমরা ভালো ভাবে স্বাধীন হয়ে বাঁচি’। তাৎপর্যপূর্ণভাবে তাঁর মুখে এসেছে নিশীথ প্রামাণিকের কথাও। তিনি বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে মারার চেষ্টা করছে কলকাতা কেন্দ্রীক সরকার’। তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘গ্রেটার কোচবিহারের জন্য জীবন দিয়ে দেব এবং কলকাতা কেন্দ্রীক সরকারকে উৎখাত করব’। এদিকে, গোটা বিষয়টি নিয়ে রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র পার্থপ্রতীম রায় বলেন, ‘পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে BJP-র লিখে দেওয়া স্ক্রিপ্ট পড়ছেন জীবন সিংহ।
তাঁর মুখে একের পর এক BJP নেতা মন্ত্রীদের নাম শোনা যাচ্ছে’। অপরদিকে BJP-র কোচবিহার জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘জীবন সিংহ ভারতীয় জনতা পার্টির কেউ নন। কাজেই উনি কি মন্তব্য করবেন সেটা ওনার ব্যাপার। এখানে আমাদের দলের কোনও কিছু বলার নেই’।