জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অস্ট্রেলিয়ার তারকা ব্যাটার মার্নাস লাবুশানে (Marnus Labuschagne) ক্রিকেট গ্রহের অন্যতম বর্ণময় চরিত্র। এই নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকতে পারে না। সম্প্রতি আইসিসি (ICC) বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট ব্যাটারের আসনটা তিনি ব্রিটিশ মহারথী জো রুটের (Joe Root) কাছে খুইয়েছেন। ২৯ বছরের ধ্রুপদী টেস্ট ক্রিকেটার মাঠে কিছু না কিছু ঘটাতেই থাকেন। এবার মাটি থেকে চুইংগাম কুড়িয়ে মুখে দিলেন! যে ভিডিয়ো রাতারাতি ভাইরাল হয়েছে। চলতি অ্যাশেজ (The Ashes 2023) সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হয়েছে বুধবার থেকে। লর্ডসে মহাযুদ্ধে মুখোমুখি যুযুধান দুই পক্ষ-ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া (England vs Australia)। দ্বিতীয় অ্যাশেজ টেস্টের প্রথম দিনেই ঘটেছে এই ঘটনা।
আরও পড়ুন:
দ্বিতীয় অ্যাশেজ টেস্টে অস্ট্রেলিয়া টস হেরে প্রথমে ব্যাট করেছে। স্মিথের সেঞ্চুরিতে (১৮৪ বলে ১১০, ১৫টি চার) অজিরা প্রথম ইনিংসে তুলেছে ৪১৬ রান। স্মিথের সঙ্গে লাবুশানে ব্যাট করছিলেন। তখন চলছিল অজি ইনিংসের ৪৫ নম্বর ওভার। তখনই দেখা যায় যে, স্টান্স নেওয়ার আগে লাবুশানের মুখ থেকে চুইংগাম পড়ে গিয়েছিল পিচে। পড়ে যাওয়া চুইংগাম পিচ থেকে কুড়িয়ে মুখে দেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার ৪১৬ রানের জবাবে ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে চার উইকেট হারিয়ে ২৭৮ রান তুলেছে। লাবুশানের অ্যাশেজ অভিযান একেবারেই বলার মতো না। এজবাস্টনে প্রথম ইনিংসে খাতা না খুলেই ফিরে যান তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি করেছিলেন ১৩ রান। লর্ডসে কিছুটা হলেও রানের মুখ দেখেছেন তিনি। ৪৭ রান করে আউট হয়েছেন লাবুশানে।
অন্যদিকে স্মিথ তাঁর অ্যাশেজ কেরিয়ারে ১২ নম্বর সেঞ্চুরি হাঁকালেন। স্পর্শ করলেন জ্যাক হবস। ইংল্যান্ডের ব্যাটারেরও ছিল ১২টি অ্যাশেজ শতরান। স্মিথ এখন অ্যাশেজে সেঞ্চুরিকারীদের তালিকায় যুগ্মভাবে দুয়ে। স্মিথের আগে ডন ব্র্যাডম্যান। কিংবদন্তির ছিল ১৯টি অ্যাশেজ শতরান। স্মিথ কেরিয়ারের ৩২ নম্বর টেস্ট শতরান করে স্পর্শ করলেন আরেক অজি মহারথী স্টিভ ওয়াকে। তাঁরও আছে ৩২টি টেস্ট সেঞ্চুরি। স্মিথের আগে শুধু রিকি পন্টিং। তাঁর আছে ৪১টি টেস্ট সেঞ্চুরি।
কেরিয়ারের ৯৯ তম টেস্ট ম্য়াচ খেলছেন স্মিথ। ১৭৪ নম্বর ইনিংসে এসেছে তাঁর ৩২ সেঞ্চুরি। এর আগে কেউ এত তাড়াতাড়ি এই সেঞ্চুরি সংখ্যা স্পর্শ করতে পারেনি। লর্ডসের টেস্ট ব্যাটিং রেকর্ড যদি দেখা যায়, তাহলে স্মিথ চতুর্থ অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে একাধিকবার টেস্ট শতরান করলেন। স্মিথের নাম থাকবে ওয়ারেন ব্র্যাডসলে (১৯১২, ১৯২৬), ডন ব্র্যাডম্য়ান (১৯৩০, ১৯৩৮), বিল ব্রাউনের (১৯৩৪, ১৯৩৮) সঙ্গে। স্মিথ বুঝিয়ে দিলেন যে, তাঁর লর্ডস রোম্য়ান্স ছিল, আছে ও থাকবে।