Panchayat Election 2023 : কোথায় কত রাজ্য পুলিশ, এখনও ধন্দ জারি – what will be the role of the state police where central forces will be stationed is yet to be decided election 23


এই সময়: রাজ্য নির্বাচন কমিশনের চাহিদা ছিল ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর। এখনও ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্র। তার মধ্যে এসেছিল ২২ কোম্পানি, বৃহস্পতিবার পৌঁছেছে আরও ৫০ কোম্পানি। রবিবারের মধ্যে বাকি বাহিনী আসবে বলে আশা করছে কমিশন। কিন্তু আরও ৪৮৫ কোম্পানি নিয়ে এখনও প্রবল ধন্দ। এ দিকে পঞ্চায়েত ভোট শিয়রে। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে যেমন জট কাটেনি, তেমনই অস্বচ্ছতা রয়ে গিয়েছে রাজ্য পুলিশের কত ফোর্স ব্যবহার করা হবে, তা নিয়েও। এখনও পর্যন্ত রাজ্য পুলিশের মাত্র ছ’কোম্পানি বিশেষ ফোর্স কয়েকটি জেলায় পাঠানো হয়েছে।

WB Panchayat Polls : আসছে ৩১৫ কোম্পানি, বাকি বাহিনীতে অনিশ্চয়তা
ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সিভিক ভলান্টিয়ার ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ভোটের কাজে ব্যবহার না-করা, বুথে সিসিটিভি বসানোর নির্দেশ দিয়ে রিপোর্ট চেয়েছে। সোমবার ফের শুনানি। তার আগে এ দিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা জেলাশাসকদের কাছে জানতে চান, এখনও পর্যন্ত কমিশনের দেওয়া নির্দেশে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়ে বিতর্ক থামাতে প্রত্যেক পুলিশকর্মীকে সচিত্র পরিচয়পত্র বুকে ঝুলিয়ে ডিউটি করার নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। এ নিয়ে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা-ও জানতে চাইছেন কমিশনের কর্তারা।

Panchayat Election in West Bengal : বাহিনী মোতায়েন নিয়ে পত্রযুদ্ধে কেন্দ্র-কমিশন
কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, রাজ্য পুলিশ বা কেন্দ্রীয় বাহিনী–নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা হচ্ছে? কমিশনের ব্যাখ্যা, রাজ্য পুলিশ রূপরেখা তৈরি করে কমিশনে পেশ করে। রাজ্য পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে তাতে সিলমোহর দেয় কমিশন। এবার রাজ্যে বুথ ৬১,৬৩৬টি। সেই অঙ্কে প্রায় দেড় লক্ষ পুলিশ দরকার, যা রাজ্য ও কলকাতা পুলিশে কুলোবে না। গত পঞ্চায়েত ভোটে বুথ ছিল ৪৮,৬৫০টি। রাজ্য পুলিশ লেগেছিল ১ লক্ষ ৫ হাজার। এবার যদি সত্যি ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাওয়াও যায়, তা হলেও ভোটে আরও রাজ্য পুলিশ দরকার। সেই ব্যাপারটি এখনও চূড়ান্ত করে উঠতে পারেনি কমিশন।

West Bengal Election 2023 : আজ থেকে রাজ্যে শুরু টহলদারি, আসছে আরও ফোর্স
রাজ্য পুলিশের ভূমিকা কী হবে, বুথে লাঠিধারী না সশস্ত্র পুলিশ থাকবে, কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায় থাকবে–এই বিষয়গুলিও চূড়ান্ত হয়নি। গত পুরভোটে একটি বুথে একজন এএসআই, দু’জন সশস্ত্র পুলিশ, একজন লাঠিধারী পুলিশ রাখার কথা বলা হয়েছিল। পঞ্চায়েত ভোটে সেই ফমুর্লাই অনুসরণ করা হবে কিনা, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। ইতিমধ্যে আদালতে হলফনামায় কমিশন জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভোটার সংখ্যার নিরিখেই স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করা হচ্ছে। গত পঞ্চায়েত ভোটের তুলনায় মনোনয়ন প্রত্যাহারের হার এ বার অনেক কম। কমিশনের হিসেব, ২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটে ১ লক্ষ ৩৩ হাজার ৬৭৩ মনোনয়নের মধ্যে ২৩,৬১৯টি প্রত্যাহার হয়েছিল। এ বার ২ লক্ষ ২৮ হাজার ১৫১টি মনোনয়নের মধ্যে ২০,৬১২টি প্রত্যাহার হয়েছে।

Panchayat Election 2023 : ‘৩১৫ কোম্পানি বাহিনী কোথায়-কী ভাবে ব্যবহার?’ কমিশনকে চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের হাতে রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে লিফলেট তুলে দেওয়ার নয়া কৌশল নিচ্ছে তৃণমূল। জোড়াফুলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে কী উন্নয়ন হয়েছে, সেই বিবরণ একাধিক ভাষায় লিফলেট আকারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের হাতে তুলে দেবেন তৃণমূলের কর্মীরা। জওয়ানরা জানতে পারবেন পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কী কাজ হয়েছে। নিজেদের রাজ্যে ফিরে বাংলার উন্নয়নের কথা বলতে পারবেন তাঁরা।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *