পাশাপাশি যোগদানকারী BJP-র কর্মী সমর্থকরা জানান, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন দেখে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দিয়েছেন তাঁরা। BJP ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছেন কিষাণ মোর্চার সম্পাদক আনন্দ সাঁতরা। এদিন তিনি বলেন, ‘রাজ্যের জন্য প্রভূত উন্নয়ন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরকম উন্নয়ন রাজ্যের ইতিহাসে হয়নি।
এতদিন ভুল বুঝে ভুল দলে ছিলাম। এখন তৃণমূলে যোগ দিয়ে সঠিক কাজ করলাম। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলকে আমার এলাকায় জেতাতে প্রাণপাত করে দেব’। এছাড়াও BJP ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন যুব মোর্চার সম্পাদক শ্যামল দাস। তিনি বলেন, ‘BJP করতাম একটা আদর্শ নিয়ে। কিন্তু এখন দেখছি সেই আদর্শ থেকে সরে এসেছে দল।
BJP তে এখন ব্যাপকভাবে স্বজনপোষণ বেড়ে গিয়েছে। ওই দলে আর থাকা যাচ্ছিল না। সেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমাজের সর্বস্তরের মানুষের জন্য যথেষ্ট উন্নয়ন করেছেন, আমাদের আশা আরও উন্নয়ন হবে। সেই কারণেই উন্নয়নের অংশীদার হতে তৃণমূলে যোগদান করলাম’।
এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টু রাম পাখিরা বলেন, ‘কাকদ্বীপ এলাকায় BJP-র কোনও সংগঠন, কোনও অস্তিত্বই নেই। এই মানুষগুলো এতদিন ভুল পথে চালিত হচ্ছিলেন। তাঁদের বাড়িতে কোনও উন্নয়ন পৌঁছয়নি। সেই কারণেই তাঁরা উন্নয়নের অংশীদার হতে আমাদের দলে এলেন।
ধীরে ধীরে সব বিরোধী দলের কর্মী সমর্থকরাই আমাদের ছাতার তলায় আসবেন। পঞ্চায়েত ভোটের পর কাকদ্বীপে দূরবীন দিয়েও বিরোধীদের খুঁজে পাওয়া যাবে না’। যদিও BJP নেতৃত্বের মতে, ওই পরিবারগুলিকে ভয় দেখিয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া করানো হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই ওই পরিবারগুলিকে হুমকি দেওয়া হত। সেই কারণেই তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।