তিনি আগে BJP করলেও এখন তৃণমূল কর্মী। মৌমিতা বলেছেন, ‘আমি সক্রিয়ভাবে তৃণমূল কংগ্রেস করি। আমার বাড়িতে তৃণমূলের ফেস্টুন ও পতাকা লাগানো ছিল। গতকাল রাতে কে বা কারা আমার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। পুড়ে যায় দরজা ও দেওয়াল। পরিবারের সকলে মিলে জল ঢেলে আগুন নেভাই।’
খবর পেয়ে আজ সকালে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ডোমজুড় থানার পুলিশ। তাঁরা গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছেন। মৌমিতা অভিযোগ করে বলেন, ‘এই ঘটনার পিছনে বিরোধী দলের লোকেরা যুক্ত রয়েছে। আমাকে ভয় দেখানোর জন্য এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’ আজ শুক্রবার সকালে মৌমিতার বাড়িতে যান ডোমজুড়ের বিধায়ক এবং হাওড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কল্যাণ ঘোষ।
তিনি বলেন, ‘মৌমিতা সক্রিয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। প্রত্যেকটি মিটিং মিছিলে যান। শলপ এলাকায় বিরোধী রাজনৈতিক দলের মাটির সরে যাওয়ায় তাঁরা এই কাজ করেছে। আমি পুলিশকে বলব গোটা ঘটনার তদন্ত করতে।’ এদিকে এই নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী BJP এবং বামেরা।
BJP নেতা জয়ন্ত দাস বলেন, ‘আমাদের জানা নেই ওই BJP কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন কিনা। গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে শলপ এক নম্বর এলাকায় পাঁচ হাজারের বেশি ভোটে BJP এগিয়েছিল। এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে হয়েছে।’
তাঁর পালটা অভিযোগ, এবারে ভোটের আগে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ভয় দেখিয়ে BJP প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করিয়েছে। আর যেগুলোতে লড়াই হচ্ছে সেখানে এই ধরনের গল্প ফেঁদে BJP-র ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে তৃণমূল। তিনি বলেন, ‘প্রশাসন তদন্ত করুক এর পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র আছে কিনা।’
CPIM-এর হাওড়া জেলা কমিটির সদস্য উত্তম বেরা বলেছেন, ‘আমরা এই ধরনের রাজনীতি করি না। এখন কে তৃণমূল আর কে BJP বোঝা মুশকিল। ওদের দুটো দরজা থাকে। একটা দরজা দিয়ে ঢোকা অন্য দরজা দিয়ে বেরোনো। তাই আমরা ওদের বিজেমুল বলি। আসলে বামপন্থীদের শক্তি কমানোর জন্য মোদী এবং দিদির মধ্যে বোঝাপড়া হয়েছে। আর ওদের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জন্যেই এই ঘটনা ঘটেছে। গোটা রাজ্যে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। শলপ এর ব্যতিক্রম নয়।’