জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে মাঠে গরু চরাতে গিয়ে খেলা করছিল ৪ বালক। খেলার সময় মাঠের অদূরে এক জায়গায় গর্ত থেকে মাছরাঙা পাখির বাচ্চা বের করার চেষ্টা করে তারা। আর সেই সময়ই সনৎ বাস্কে ও মহেশ্বর হেমব্রমের মাথায় পড়ে মাটির চাঁই। তাতে মাটির তলায় চাপা পড়ে যায় সনৎ ও মহেশ্বর। এদিকে ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সঙ্গে থাকা বাকি দুই বালক। তারা সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গিয়ে গ্রামে খবর দেয়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান সনৎ ও মহেশ্বরের পরিবারের লোকজনেরা। ছিলেন গ্রামবাসীরাও। উদ্ধার করে তড়িঘড়ি পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মহেশ্বরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। পরে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় সনতেরও। আজ ওই দুই বালকের ময়নাতদন্ত হওয়ার কথা।
এদিকে এই ঘটনার জেরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা ফুসড়াটাড় গ্রামে। শোকে পাথর হয়ে পড়েছেন ওই দুই বালকের পরিবারের সদস্যরা। এদিন তাঁরা বলেন, ‘গবাদি পশু নিয়ে মাঠে যাওয়ার সময় নদীর পাড়ে খেলা করছিল ছেলেগুলি। কিন্তু কোথা থেকে যে কি হয়ে গেল কিছুই বুঝতে পারছি না। সব কিছু শেষ হয়ে গেল।’ জানা গিয়েছে, মহেশ্বর মুদালী উচ্চ বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র ছিল মহেশ্বর। আর সনৎ ওই বিদ্যালয়েরই অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছিল বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনার জেরে শোকস্তব্ধ স্কুলের শিক্ষক ও সহপাঠীরাও।
এদিকে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান আড়সা থানার পুলিশ আধিকারিকরা। যে জায়গায় ঘটনাটি ঘটেছে সেখানটা ভাল করে পরিদর্শন করেন। দু’টি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এক্ষেত্রে মৃত দুই বালকের সঙ্গী, অর্থাৎ আর যে দুই বালিক গতকাল ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল, তাদের সঙ্গেও পুলিশ কথা বলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।