জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে বেলপাহাড়ি থানার অন্তর্গত শিমুলপাল গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩টি জায়গা থেকে একাধিক মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধার হয়। ঠাকুরানপাহাড়ি, ওদোলচুয়া এবং ওদোলচুয়া থেকে ঢাঙ্গিকুসুম যাওয়ার কালভার্টের উপর মাও নামাঙ্কিত পোস্টারগুলি চোখে পড়ে। খবর পেয়ে সেগুলি উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় বেলপাহাড়ির এসডিপিও উত্তম গড়াই বলেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে এই গুলি ভুয়ো মাও নামাঙ্কিত পোস্ট।’
প্রসঙ্গত, গতমাসে জামবনী থানার অন্তর্গত চিল্কিগড় কনকদুর্গা মন্দিরে ঢোকার মুখে যাত্রী প্রতিক্ষালয়ে বেশকিছু মাও নামাঙ্কিত পোস্টার দেখতে পাওয়া যায়। পোস্টারগুলি লালকালিতে লেখা ছিল। তৃণমূল সরকারকে কার্যত বিদায় জানানোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় ওই পোস্টারগুলিতে। পাশাপাশি সেখানে দুর্নীতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর জবাবও চাওয়া।
যা লেখা ছিল পোস্টারগুলিতে?
পোস্টারগুলিতে বেশকিছু বিষয় তুলে ধরা হয়। ‘ ১. ইন্দিরা আবাস পাওয়ার যোগ্য জনগণ পাচ্ছে না কেন, মুখ্যমন্ত্রীর জবাব চাই? ২. ভুয়ো এস টি সার্টিফিকেট প্রদান অবিলম্বে সরকারকে বন্ধ করতে হবে। ৩. মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা সত্ত্বেও এখনও ভাতা দেওয়া হয়নি কেন, মুখ্যমন্ত্রীর জবাব চাই। ৪. লক্ষীর ভাণ্ডারে ৫০০ টাকা দিয়ে জনগণকে ভোলাবেন না। দিদিমণি আমরা সন্তানদের চাকরি চাই। ৫. তৃণমূল নেতা বা নেত্রীরা গ্রামে গিয়ে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগণের কাছে ভোট চাইবেন না। নবজোয়ার কর্মসূচিকে ২০২৪ সালে বিদায় জানাব। ৬. আসল মাওবাদী তদন্ত করে এখনও নিয়োগ হল না কেন? মুখ্যমন্ত্রীর জবাব চাই। ৭. ভুয়ো এসটি সার্টিফিকেট দুর্নীতি করে যেমন চাকরি করছে, ওইভাবে স্পেশাল হোম গার্ডেও দুর্নীতি করে চাকরি করছে অনেকে। যে কোনও ক্ষেত্রে দুর্নীতি হচ্ছে কেন, মুখ্যমন্ত্রীর জবাব চাই।’
যদিও সেই পোস্টারের নেপথ্যে মাওবাদীরা রয়েছে বলে মানতে একেবারেই নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। শাসকদল এটাকে বিরোধীরে বড় চক্রান্ত বলেই মনে করে। ঝাড়গ্রামে তৃণমূল সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেছিলেন, ‘পরিষ্কার কথা, এটা মাওবাদী নয়, অন্য কেউ নয়। এটা বিরোধীদের একটা বড় চক্রান্ত। ভোট এলে বিভিন্ন সমাজ, মাওবাদী নাম করে পোস্টার দেয়।’