তাই যারা এখন দেওয়ালের উপর উঠে আছেন তাদের বলি, ভাই খুব সাবধান! এবারে কিন্তু আমরা চোখে দেখে রাখছি। আমাদের কাছে আসবে, বলবে এই উপকারটি করে দিন। মেয়ের বিয়ে লাগলে আমাদের কাছে আসবে। বিকাশ চৌধুরি পকেট থেকে ২০০০ টাকা বার করে দিয়ে বলবেন জেলা পরিষদের অনারিয়ামের টাকা থেকে দিয়ে দিলাম। তোর মেয়ের বিয়েটা পার কর গা, আর ভোটের সময় হাতে পদ্মফুল নিয়ে ঘুরবে। তাদের কিন্তু চোখে সরষে ফুল দেখাতে হবে। এই দায়িত্বটা আপনাদের’। নরেন চক্রবর্তী কথায় সায় দিয়ে বিকাশ রায় চৌধুরী বলেন, ‘নরেনের সঙ্গে সুরে সুর মিলিয়ে বলছি খবর আমরা রাখি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে থেকে পাঁচিলে উঠে বসে এদিক ওদিক করবে, তার ফলটা ভোগ করতে হবে। ভোটের পরে বুঝিয়ে দেব তুমি কোথায় থাকো তোমার জায়গাটা কোথায়’। পাশাপাশি দুবরাজপুরের BJP বিধায়ক অনুপ সাহা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য এই দুবরাজপুরে আপনারা এমন একটা মানুষকে বেছে নিয়েছেন যাকে দেখাও যায় না।
যার ৬০ লাখ টাকা খরচ করার জায়গাটাও সে খুঁজে পাচ্ছে না। সেই টাকাটা ফেরত যাচ্ছে বছরের পর বছর’। পাশাপাশি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে বলেন, ‘অনেক বন্ধু যারা আমাদের দল করেন, তাঁরা কিন্তু ঘরে চুপচাপ বসে আছেন। তাঁদেরকে কিন্তু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলে যাই, যদি তৃণমূল কংগ্রেসকে চক্রান্ত করে বিপদে ফেলার চেষ্টা করেন, তাতে কিন্তু ফল ভালো হবে না। নির্বাচনের পর তাঁদের হিসাব কিন্তু করব। ঝগড়া হতেই পারে। থালাবাসন এক জায়গায় থাকলে ঠনঠনানী লাগতেই পারে। কিন্তু তা বলে যখন মরণ বাঁচনের ব্যাপার যখন লড়াইয়ের ব্যাপার গ্রামের মানুষের অধিকারের লড়াই, সেই সময় কিন্তু রাগ করব না।
কার সঙ্গে কার ঝগড়া আছে জানি না। ভোটে এক হয়ে লড়তেই হবে। না হলে তাঁকে দেখে নেব আমরা। তিনি যত বড়ই নেতা হোন তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হবে’। অন্যদিকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, ‘দলে থেকে গদ্দারি যারা করবে তাদের কিন্তু ছাড় দেব না জানিয়ে রাখছি। তাই তাঁদের বলব সঠিক পথে চলুন’।