একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওই প্রকল্পে সব থেকে বেশি যদি কেউ সুবিধা ভোগ করছে তা হল ‘তৃণমূলের দুধেল গাইরা’। কারণ এক একটি বাড়িতে মাসে অন্তত ২০ হাজার টাকা ঢুকছে বলে তিনি দাবি করেন। এছাড়াও তিনি আরও বলেন, ‘বেছে বেছে তৃণমূল নেতা কর্মীদের বাড়ির মহিলাদের নাম লক্ষ্মী ভাণ্ডার প্রকল্পে ঢোকানো হয়।
BJP-র কোনও নেতা কর্মীর বাড়ির মা বোনেরা এই সুবিধে পান না। সে যতই গরিব পরিবার হোক না কেন। তাই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে বয়কট করুন, মুখে ঝাঁটা মারুন’। এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদিকা তথা চিত্রাভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র প্রতিবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘ওই কথা বলে ওনারা ঘরের মা লক্ষ্মীকেই অপমান করেছেন’। এরপরেই তিনি বলেন, ‘আপনার দলে থাকা দলবদলু নেতারা তিন হাজার টাকা করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেবেন বলেছেন। সেটা কি নতুন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার? যেটাতে ঝাঁটা মারবেন না’!
অন্যদিকে ওই মঞ্চে দাঁড়িয়ে বাঁকুড়ার BJP বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা দাবি করে বলেন, ‘জেলার এক একটি থানায় পুলিশ আধিকারিকরা তৃণমূল নেতা হিসেবে বসে আছেন। এবারের ভোটে কোনও BJP কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিলে সেই থানাকে বঙ্গোপসাগরে বিসর্জন দিয়ে দেব।
আমরা সব লক্ষ্য রাখছি। তাই পুলিশকে বলব, ঠিকঠাকভাবে কাজ করুন’। BJP বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানার বক্তব্য প্রসঙ্গে সায়ন্তিকা বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসন নিয়ে কথা বলার ক্ষমতা ওনার নেই। আগে উনি গণধোলাই থেকে বাঁচুন। কোনদিন হয়ত দলের লোকের হাতেই উনি মার খেয়ে যাবেন। আপনি আগে বিজেপিতে সম্মান লাভ করুন, তারপর ওই সব কথা বলবেন’।