Sukanta Majumdar : ‘যেখানে BJP শক্তিশালী সেখানে আমরাই বাহিনী…’, কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে বললেন সুকান্ত – sukanta majumdar bjp leader given reaction on state election commission central force deployment notice


‘আমরা পঞ্চায়েতকে দুর্নীতিমুক্ত করতে চাই, চোর মুক্ত করতে চাই’, শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে, এমনটাই বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। একইসঙ্গে, আবাস যোজনা, ১০০ দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা, জল জীবন প্রকল্পের মতো বিষয়গুলিতেও জোড় দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

Panchayat Election 2023 : পঞ্চায়েতে প্রতি বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী? কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে নেই কোনও উল্লেখ
অন্যদিকে বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, এদিন সেই বিষয়েও প্রতিক্রিয়া দেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্য নির্বাচন কমিশন কেন রাখছে না, এটা আর আমার বলার প্রয়োজন নেই। বুথে ও ভোট গণনা কেন্দ্রে সমস্তরকমভাবে ম্যানুপুলেশানের চেষ্টা তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে করা হবে। যেখানে বিজেপি শক্তিশালী সেখানে বুথে আমরাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজ করব।’

West Bengal Election 2023 : বুথে পুলিশ, বাইরে টহল দেবে বাহিনী
পঞ্চায়েত ভোটে প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কি না এই নিয়ে যখন ভোটার মনে প্রশ্ন ঠিক সেই সময়েই প্রকাশ্যে এসেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তি। তাতে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী এলাকায় টহল দেবে। নাকা চেকিংয়ের কাজে মোতায়েন থাকবে। এমনকী মানুষের আস্থা অর্জনের কাজও করবে। এছাড়া আন্তর্জাতিক সীমান্ত এবং দুই রাজ্যের সীমানা পাহারা দেওয়ার কাজেও লাগানো হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। কিন্তু বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কি না তার কোনও উল্লেখ নেই সেই কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে। আর তার জেরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও বুথের নিরাপত্তাতেই থাকবে না কেন্দ্রীয় বাহিনী?

Panchayat Election 2023 : ‘৩১৫ কোম্পানি বাহিনী কোথায়-কী ভাবে ব্যবহার?’ কমিশনকে চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশের পর এই বছর পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রের কাছ থেকে মোট ৮২২ কোম্পানি বাহিনী চাওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। এক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার, আদালত নির্দেশ দিয়েছে ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের চেয়ে এবারে যেন বাহিনীর পরিমান কোনওভাবেই কম না হয়। তারপরেই মোট ৮২২ কোম্পানি বাহিনী চাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। এর মধ্যে আগেই ২২ কোম্পানি চাওয়া হয়েছিল। ২০১৩ সালে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছিল ৮২০ বাহিনী। কিন্ত এবার রাজ্যে যে বাহিনী আসছে তা কোথায় কী ভাবে ব্যবহার করা হবে তা নিয়ে প্রথম থেকেই উঠতে শুরু করে প্রশ্ন। এমনকী বাহিনীকে কী ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে তা জানতে চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠিও দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এরই মাঝে কমিশনের এই বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরে নতুন করে সরগরম হয়ে উঠল রাজ্য রাজনীতি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You missed