প্রদ্যুত্ দাস:ভোটে জেতার পর প্রার্থী অন্য দলে নাম লিখিয়েছেন এমন ঘটনা আকছার। এমনটা দিতে রাজী নন এলাকার বাসিন্দারা। রীতিমতো স্ট্যাম্প পেপারে এগ্রিমেন্ট করেই নির্দল হিসেব প্রার্থী দাঁড় করালেন জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের ১ নং সাকোয়াঝোড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনায় কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে তৃণমূল।
আরও পড়ুন- ‘ক্ষমতা থাকলে রিপোর্ট কার্ড আনুন’, মোদীকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের
দীর্ঘ কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও গ্রামের বিভিন্ন সমস্যার সুরাহা হয়নি। এমনটাই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসের হাত ধরতেও এখন অনীহা গ্রামবাসীর। তাই রীতিমতো এগ্রিমেন্ট পেপারে সই করিয়ে মানিক চ্যাটার্জী নামে এক ব্যক্তিকে ১৪/২১২ নম্বর বুথে নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন জানালেন বানারহাট ব্লকের সাঁকোয়াঝরা ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের সমাজপাড়া এলাকায় ভোটাররা।
এদিকে, গ্রামবাসীদের সমর্থন পেয়ে ভোট প্রচারে বের হতেই শাসক দলের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থীকে কালিমালিপ্ত করার অভিযোগ উঠল গয়েরকাটায়। তৃণমূলের অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নির্দল প্রার্থীর ছবি পোস্ট করিয়ে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি ভোট প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে এমনটাও অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
ঘটনায় ১ নং সাঁকোয়াঝোড়া তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি মানসরঞ্জন ঠাকুর টেলিফোনে জানান, উনার তো স্ট্যান্ডই পরিষ্কার নন। তৃণমূলের নির্বাচিত প্রতিনিধি ছিলেন এই নির্দল প্রার্থী। যিনি দলীয় অনুশাসনই মানেন না তার ব্যাপারে আর কী বলব। এতে তৃণমূলের উপরে কোনও প্রভাব পড়বে না। তিনি নিজে নিজেই গিয়ে সিপিএমের ক্যান্ডিডেটের সঙ্গে ডিসিআর কেটে নমিনেশন জমা দিয়েছেন তিনি যে কত রকমের জামা পড়তে ভালোবাসেন সেটা ওনার উপরেই ছেড়ে দিলাম। এই ঘটনায় তৃণমূলের কোনো প্রভাব পড়বে না। যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন । এধরনের ঘটনায় বাসিন্দারাও বিভ্রান্ত হচ্ছেন। কী করবে আর কী না করবে কেউ বুঝে উঠতে পারছেন না। অশান্তি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা রাজনৈতিকভাবেই প্রতিহত করব।