স্পর্শকাতর এলাকা-বুথ কোনগুলি, চিহ্নিত করতে গাইডলাইন তৈরি করে ফেলল কমিশন


সুতপা সেন: পঞ্চায়েত ভোটের আর ৬ দিন বাকী। কমিশনের নজর এখন স্পর্শকাতর বুথ ও এলাকা চিহ্নিত করা। এনিয়ে আজ বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিজি ও নির্বাচন কমিশনার। কীভাবে স্পর্শকাতর বুথ ও এলাকা চিহ্নিত করা হবে তার একটি গাইডলাইন তৈরি করা হল। এমনটাই খবর কমিশন সূত্রে।

আরও পড়ুন-ফের উত্তপ্ত বাসন্তী, শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বোমাবাজির অভিযোগ

জানা গিয়েছে নির্দিষ্ট কিছু রূপরেখার ভিত্তিতে এলাকার স্পর্শকাতর বুথ ও এলাকা চিহ্নিত করবেন বিডিওরা। সেই রিপোর্ট যাবে জেলাশাসকের কাছে। তার ভিত্তিতেই জেলাশাসক সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই পঞ্চায়েত অফিসার ও পুলিস সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। শেষপর্যন্ত তালিকা চূড়ান্ত করবেন জেলা শাসক। স্পর্শকাতর বুথ ও এলাকার তালিকা পাঠিয়ে দিতে হবে পর্যবেক্ষকদের কাছে। তালিকা যাবে পুলিস সুপারদের কাছেও।

স্পর্শকাতর বুথ ও এলাকা চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে আগের নির্বাচনগুলির উপরেই জোর দিতে বলা হয়েছে বলে খবর। ওই নির্বাচনে কোন কোন বুথে গন্ডেগোল হয়েছিল, কোন এলাকায় আশান্তি হয়েছিল সেইসব জায়গাগুলিকে নজরে রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া গত ভোটে যেসব বুথে ৯০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছিল কিংবা কোনও প্রার্থীর পক্ষে ৭৫ শতাংশ ভোট পড়েছিল তা চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। অতীতে যেসব বুথে পুননির্বাচন হয়েছিল, বা গন্ডগোল হয়েছিল সেইসব বুথের উপরে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে। 

এবার মনোনয়ন দাখিলের সময়ে ভাঙড়-সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় গন্ডগোল হয়েছিল। সেইসব এলাকাগুলিকে স্পর্শকাতরও অতিস্পর্শকাতর এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। বিডিও ও পঞ্চায়েততে রিটার্নিং অফিসারদের ওই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওইসব এলাকা চিহ্নিত করার পর তালিকা তারা পাঠিয়ে দেবেন জেলাশাসকের কাছে। পুলিস সুপাররা যদি মনে করেন আরও কিছু এলাকায় ওই তালিকায় যোগ করা দরকার তাহলে তা তারা করতে পারবেন। এখন প্রশ্ন একটাই, হাতে আর মাত্র ৬ দিন। এর মধ্যেই গাইডলাইন তৈরি করে পাঠানো হল জেলা স্তরে। বলা হয়েছে যত দ্রুত সম্ভব তালিকা তৈরি করতে হবে। ভোটের দিন যাতে পর্যবেক্ষকরা ওইসব এলাকাগুলির উপরে নজর দিতে পারেন তার জন্য তালিকা থাকবে তাদের হাতেও। 

কেন্দ্রীয় বাহিনী আসা নিয়ে এখনও টালবাহানা চলছে। সেই বাহিনী আসবে কিনা তাও নিশ্চিত নয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এখনও এনিয়ে কিছু বলেনি। ফলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনীকে বাদ রেখেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে চাইছে। শেষ মুহূর্তে কেন্দ্র যদি বাহিনী পাঠায় তাহলে ভালোই হবে। আর যদি তা না পাঠায় তাহলে রাজ্যের সশস্ত্র বাহিনী তৈরি রাখছে। এদিকে, আগামিকাল বাহিনী ও ভোটের দফা নিয়ে মামলা রয়েছে। ফলে সেটিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফলে সেদিকেও কমিশনের নজর থাকছে। 

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *