স্টেট হাইওয়ে ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন সূত্রে খবর, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সোদপুর থেকে কল্যাণী এক্সপ্রেস পর্যন্ত রাস্তা সম্প্রসারণের কাজের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হচ্ছে। কাজও দ্রুত গতিতে হচ্ছে। কিন্তু গতিরুদ্ধ হয়েছে চার কাঠা জমি নিয়ে। বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসের সঙ্গে কল্যাণী এক্সপ্রেসের সংযোগকারী উড়ালপুল নির্মাণেই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে চার কাঠা জমি।
‘বর্তমান’ সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, জানা গিয়েছে, উড়ালপুল নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় জমির জন্য জমিজট শুরু হয় প্রথম থেকেই। মোট ১৪ জন জমির মালিক জমি দিতে নারাজ হয়। পরে ১১টি পরিবার মামলা থেকে সরে দাঁড়ায়। তবে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মোট ৩টি পরিবার। জমি দিতে নারাজ এই চারটি পরিবার। যে কারণে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।
যে সমস্ত জমির মালিকরা তাঁদের জমি সরকারের হাতে তুলে দিয়েছেন, তাঁদের জন্য বাজার দরের দেড় গুণ দামে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে সরকার। জানা গিয়েছে,
রাজ্য সরকার দক্ষিণ নিমতা মৌজার রবীন্দ্রনগর ও আলিপুরে প্রায় এক হাজার মালিককে (প্লট ওনার্স) বাজারমূল্যের দেড় গুণ ক্ষতিপূরণ দিয়েছে।
নতুন এই এই উড়ালপুলের জন্য সব মিলিয়ে প্রায় ১৭ একর জমি প্রয়োজন। এর মধ্যেও জমিদাতাদের মোট ২০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে এই তিনটি পরিবার ক্ষতিপূরণের বদলে জমি দিতে নারাজ। এখানেই বিপত্তি নতুন এই উড়ালপুল নির্মাণে। গোটা কাজ এর জন্য বিলম্বিত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে এই উড়ালপুল নির্মাণ করার পরিকল্পনা নিয়েছিল রাজ্য সরকার। স্টেট হাইওয়ে ডেভলপমেন্ট অথরিটি এক্সপ্রেসওয়ে সম্প্রসারণের দায়িত্ব নেয়। পাশাপাশি, দুই এক্সপ্রেস ওয়ের সংযোগকারী একটি উড়ালপুল এবং অ্যাপ্রোচ রোড তৈরি করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
মোট প্রায় ৪৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন এই উড়ালপুল নির্মাণের জন্য খরচ বরাদ্দ করা হয়। উড়ালপুলের মোট ১.৬ কিমি দীর্ঘ। উড়ালপুল নির্মাণ শেষ হলে এবং এক্সপ্রেসওয়ের সম্প্রসারণ হলে কলকাতা, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনার যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন হবে বলে মনে করছে প্রশাসন। তবে চার জমিদাতা নারাজ হওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে প্রশাসনকে। শেষমেষ এই জমিজট কাটবে কিনা, তা ভবিষ্যত বলবে। পাশাপাশি, আদালতে বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আটকে রয়েছে উড়ালপুল নির্মাণের কাজ।