দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদে ১৩ নম্বর আসন থেকে তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচনে লড়ছেন কৌশিক মাহাতো। আগে আরএসপি করলে পরবর্তীকালে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। হিলি ব্লকের ধলপাড়া ও বিনশিরা এই দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে তৈরি হয়েছে এই আসনটি। স্থানীয়ভাবে তিনি ডাকু নামে পরিচিত। হিলির জামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিধাই এলাকার বাসিন্দা ডাকুর সম্পত্তি নিয়ে এখন সব মহলে আগ্রহ।
মনোনয়ন পেশের সময় কৌশিকের জমা দেওয়া হলফনামা থেকে পাওয়া তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, তাঁর ও স্ত্রীর নামে থাকা সম্পত্তি ও নগদ অর্থের পরিমাণ প্রায় এক কোটি টাকা। সম্পত্তির নিরিখে তৃণমূল সহ জেলার সব দলের প্রার্থীদের পিছনে ফেলেন কৌশিক। তৃণমূলের এই কোটিপতি প্রার্থীকে নিয়ে এখন গোটা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় চর্চা চলছে।
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পেশায় ব্যবসায়ী কোটিপতি ওই তৃণমূল প্রার্থীর কাছে এই মুহূর্তে নগদ ৫০ হাজার টাকা রয়েছে। তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে ১০ লাখ টাকা। অন্যদিকে তাঁর স্ত্রীয়ের কাছে এই মুহূর্তে রয়েছে নগদ ২৫ হাজার টাকা। স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২ লাখ টাকা গচ্ছিত রয়েছে। কৌশিক ও তাঁর স্ত্রীর মোট নয় ভরি সোনার গয়না রয়েছে। অন্যান্য বিভিন্ন জায়গায় আট লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী।
তৃণমূল প্রার্থীর স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণও আকাশছোঁয়া। বাড়ি ও জমি মিলিয়ে প্রায় ৭০ লাখের সম্পত্তির মালিক কৌশিক। তৃণমূল প্রার্থীর একটি মোটর বাইক ও একটি চারচাকা গাড়ি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কৌশিক জানিয়েছেন তাঁর বার্ষিক আয় ৫ লাখ টাকা। কৌশিকের মদ ও ইম্পোর্ট-এক্সপোর্টের ব্যবসা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূল প্রার্থীর মালিকানায় একটি গেস্ট হাউজ রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের ১৩ নম্বর আসনে এবার হেভিওয়েট লড়াই। এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে জেলার সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকারকে। অন্যদিকে এই আসনে আইনজীবী নেতা শিবতোষ চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছে সিপিএম। তবে জেতার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী কৌশিক। তিনি বলেন, ‘বিরোধীরা যাই বলুক না কেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা উন্নয়ন করেছেন, তাতে আমি জিতব।’