Wildlife Trafficking : বন্যপ্রাণ পাচারে ক্রিপ্টোকারেন্সি! হাঁ তদন্তকারীরা – cryptocurrency using in on wildlife trafficking in dholahat in south 24 parganas


শিলাদিত্য সাহা
কলকাতা, শিলিগুড়ি বা চেন্নাইয়ের মতো শহরে নয়। বন্যপ্রাণের চোরাকারবারে প্রথমবার সরাসরি ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহারের ঘটনা সামনে এল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাটে! সেই সূত্রে তদন্তে ডিআরআই এবং ইডির জুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল।

গত ১ জুন ঢোলাহাটে অভিযান চালিয়ে হোয়াইট থ্রোট কিংফিশার, গ্রে অ্যান্ড রেড জাঙ্গল ফাউল-সহ প্রায় ২০০০ পাখির পালক ও দেহাংশ-সহ সালাউদ্দিন মির নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য বনাধিকারিকদের যৌথ দল। ধৃতকে পরদিন আদালতে তোলার সময়েই দাবি করা হয়েছিল, সালাউদ্দিন শুধু বাংলা থেকে পাখির পালক ও দেহাংশ খামে ভরে ক্যুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেন না।

Royal Bengal Tiger : বাঘ ঝাঁপাল বরের ঘাড়ে, লাঠি হাতে লড়াই নমিতার
দেশের অন্য রাজ্য থেকেও তাঁর কাছে এমন বেআইনি জিনিসের ‘ডেলিভারি’ আসে। সেই অভিযুক্ত সালাউদ্দিন এখনও ডায়মন্ড হারবার জেলে বন্দি। এর মধ্যে গত এক মাস ধরে একাধিক রাজ্যে খোঁজ চালিয়ে কী ভাবে দক্ষিণ ভারতের পাখির দেহাংশ এ রাজ্যে এসেছে, কোন কোন দেশে সেগুলি পাচার হয়েছে, কী ভাবে তথ্য ও টাকার আদানপ্রদান হয়েছে— জানার চেষ্টা করেছেন তদন্তকারীরা।

তাতেই অতি সম্প্রতি জানা গিয়েছে, সালাউদ্দিন ৩০-৪০ হাজার টাকার পালক-দেহাংশ পশ্চিমের কোনও দেশে পাঠানোর পরে সে দেশ থেকে তাঁকে পেমেন্ট পাঠানো হয়েছিল ক্রিপ্টোকারেন্সিতে। চোরাকারবারের গোটা লেনদেনই চলেছে ক্রিপ্টোর মাধ্যমে। তবে কত বার, সেটা এখনই স্পষ্ট নয়।

STF West Bengal : সিম কার্ড ব্যবহার করে জঙ্গিমূলক কার্যকলাপের পর্দাফাঁস, দত্তপুকুর থেকে STF-এর জালে ২
কেন্দ্রীয় সংস্থা ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর এক শীর্ষকর্তার দাবি, দেশে বন্যপ্রাণ পাচারে এর আগে ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার সামনে আসেনি। এমনিতে হাওয়ালা পদ্ধতিতে আর্থিক লেনদেনের ঘটনা একাধিক বার সামনে এসেছে। কিন্তু সেটা নগদে লেনদেন। ধরা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু ক্রিপ্টো ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার বাইরে এবং ভার্চুয়াল।

তাই টেকস্যাভি পাচারকারীরা ক্রমশ এদিকে ঝুঁকছে বলে সন্দেহ। এমনিতেও এনক্রিপ্টেড মেসেজের মাধ্যমে বিদেশ থেকে তালিকা আসত এবং সেই মতো এখানে পাখির পালক-দেহাংশ জোগাড় করে ডেলিভারি হতো — সেটা এই মামলার প্রথমেই জানিয়েছিলেন অভিযোগকারীরা।

Khardah Rishra Ferry Service : ধর্মঘটে ইতি, চালু হল খড়দহ-রিষড়া ফেরি
আর সেই সূত্র ধরেই তৈরি হয়েছে আরও এক সম্ভাবনা। সূত্রের খবর, সালাউদ্দিনের চোরাকারবারের ব্যবসায় ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন দেখে তদন্তকারীরা চাইছেন এই মামলায় ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইনটেলিজেন্স (ডিআরআই) এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সাহায্য পেতে। সূত্রের দাবি, আগামী সপ্তাহে লিখিত ভাবে এই দুই কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে তদন্তে সাহায্যের আবেদনও জানাবেন তদন্তকারীরা।

ধৃতের বিরুদ্ধে শিকার, বেআইনি ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। এ বার ক্রিপ্টো-সূত্রে দুই কেন্দ্রীয় এজেন্সিও এই তদন্তে জুড়লে চোরাকারবারের অন্তর্জালে আরও আলো পড়বে, আশা বনাধিকারিকদের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *