‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই খুন বাবা, সিবিআই চাই’, আনন্দের পা ধরে কান্না জিয়ারুলের মেয়ের! কড়া বার্তা রাজ্যপালের…


প্রসেনজিৎ সরদার: বাসন্তীতে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। কোচবিহার থেকে ফিরেই সোজা বাসন্তীতে পৌঁছে যান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। শনিবার বাসন্তীর চাঁদরাখালিতে নিহত হন তৃণমূল নেতা জিয়ারুল মোল্লা। যেখান থেকে তৃণমূল নেতার দেহ উদ্ধার হয়, আজ সেখানেই রাজ্য়পাল সি ভি আনন্দ বোস যান। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু নিহতের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেননি রাজ্যপাল। রাস্তা সরু হওয়ায় ঢুকতে পারেনি রাজ্যপালের গাড়ি। তিনি ফিরে যান ক্যানিংয়ে সেচ দফতরের বাংলোয়। তারপর সেখানেই বাইকে করে এসে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন নিহত জিয়ারুল মোল্লার মেয়ে। রাজ্যপালকে প্রণাম করেন জিয়ারুলের মেয়ে। তারপরই রাজ্যপালের পা ধরে কাঁদতে দেখা যায় তাঁকে। 

জিয়ারুলের মেয়ের মাথায় হাত রেখে তাঁকে সান্ত্বনা দিতে দেখা যায় রাজ্যপালকে। বাবার খুনিদের শাস্তির দাবি জানান জিয়ারুলের মেয়ে। সিবিআই তদন্তের দাবি জানান রাজ্যপালের কাছে। জিয়ারুল মোল্লার মেয়ের স্পষ্ট অভিযোগ, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই খুন বাবা! তিনি জানান গতকাল রাজ্যপালের সাথে ফোনে কথা হয়েছে। রাজ্যপাল বলেছিলেন যে সকালে তাদের বাড়িতে যাবেন। এবং জানার চেষ্টা করবেন কেন খুন হতে হল তার বাবাকে। সেই মত সকাল থেকে অধীর আগ্রহে পরিবারের সবাই রাজ্যপালের অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু বাড়ির কাছে এসেও রাজ্যপালকে চক্রান্ত করে ফিরিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। শনিবার রাতে বাসন্তীতে তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। মাথায় গুলি লাগে সেই কর্মীর। মৃত্যু হয় জিয়ারুল মোল্লা নামে ওই তৃণমূল কর্মীর। এই খবর পাওয়ার পরেই গতকাল রাতে রাজ্যপাল যখন ট্রেনে ছিলেন, সেই সময় ট্রেন থেকেই ফোনে তিনি কথা বলেন নিহত তৃণমূল কর্মীর পরিবারের সঙ্গে। 

এদিন জিয়ারুল মোল্লার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর রাজ্যপাল বলেন, ‘কে হিংসা ছড়াচ্ছে তা আমার কাছে বড় নয়। হিংসায় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তা আমার কাছে সর্বাগ্রে প্রাধান্য পাচ্ছে। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করানো কমিশনের দায়িত্ব। ভোটের সময় মানুষের ভয় কাটাতে হবে। মানুষের নিরাপত্তা কমিশনকে নিশ্চিত করতে হবে। ৪৮ ঘণ্টা আমি অপেক্ষা করব। কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, দেখব। সরকারের তরফে যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেই রিপোর্ট মানুষের কাছে দেব। মানুষের রক্তে রাজনৈতিক হোলি বন্ধ হোক। আমরা বুঝতে পেরেছি হিংসার মাথায় কে আছে।’

জিয়ারুল মোল্লার বড় মেয়ে বলেন, ফোনে কথা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল আজ সকালে বাড়িতে আসবেন। কিন্তু চক্রান্ত করেছে নেতাদের সাথে থাকা প্রশাসন। রাজ্যপালকে আসতে দেওয়া হয়নি তাদের বাড়িতে। যারা খুন করেছে সেই সমস্ত নেতারাই পুলিসের সাথে আছে। তাই চক্রান্ত করে রাজ্যপালকে আসতে দেওয়া হয়নি তাদের বাড়িতে। তাদের বাড়ি চেনেন স্থানীয় প্রশাসন। প্রশাসনের দায়িত্ব ছিল রাজ্যপালকে নিয়ে আসা। রাজ্যপাল তো তাদের বাড়ি চেনেন না। তাই সম্পূর্ণটাই চক্রান্ত করা হয়েছে। ক্ষোভ উগরে দেন জিয়ারুল মোল্লার বড় মেয়ে। বাবার মৃত্যুর ঘটনায় তিনি সিবিআই তদন্তের দাবি করেন। তাঁর দাবি, রাজ্যপাল বিষয়টি দেখুন।

আরও পড়ুন, WB Panchayat Election 2023: কমিশনের দাবি মানল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, ভোটের বাংলায় রাজ্যে আরও ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *