পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার নামখানা লাইনের ডাউন ট্রেন থেকে এই গো-সাপ ভর্তি বস্তা গুলি উদ্ধার হয়। রবিবার বিকেলে লক্ষীকান্তপুর স্টেশন থেকে রেল পুলিশের নজরদারির সময় ট্রেনের ভিতর থেকে বস্তা গুলি উদ্ধার হয়। এরপরই ওই ৩টি বস্তা কাকদ্বীপ থানায় নিয়ে আসা হয়।
এদিন রাতে বস্তা গুলি নামখানা রেঞ্জের বনদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বন দফতর সূত্রে জানা যায়, তিনটি বস্তাতে মোট ১৪টি গোসাপ ছিল। তার মধ্যে দুটি গোসাপ মৃত অবস্থায় ছিল। তবে কে বা কারা এই গো-সাপ গুলি পাচার করছিল রেল পুলিশ তার তদন্ত শুরু করেছে। গো-সাপ গুলি কোথায় পাচার করা হচ্ছিল রেল পুলিশ তারও তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আন্তর্জাতিক বাজারে বহু মূল্যে এই গোসাপ গুলিকে বিক্রি করা হয়।
বাংলা থেকে গো সাপ উদ্ধারের ঘটনা চলছে বেশ কয়েক বছর ধরে। চোরা বাজারে এই প্রাণীর ভালো দর পাওয়ার কারণে গোসাপ ধরে পাচারের কাজে নেমে পড়েছেন অনেকেই। মাঝেমধ্যেই গোসাপ পাচারের ঘটনা উঠে আসে একাধিক জেলা থেকে। মূলত, দক্ষিণ এশিয়ার দেশ গুলোতে পাচার হয়ে যায় এই গো সাপ।
জানা গিয়েছে, এদিন ট্রেনে তিনটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় যাত্রীদের। সেগুলি মাঝেমধ্যেই নড়াচড়া করতে দেখে সন্দেহ আরও বাড়তে থাকে। ব্যাগের মধ্যে জীবন্ত কিছু রয়েছে বলে সন্দেহ হয় যাত্রীদের। এরপর রেল পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। রেল পুলিশ এসে ওই বস্তাগুলি উদ্ধার করে। ব্যাগ গুলোর মধ্যে থেকে মোট ১৪টি গো সাপ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে দুটি গো সাপ মারা গিয়েছে বলে জানা যায়।
চোরা বাজারে এক সরীসৃপের দর ওঠে লাখ টাকা পর্যন্ত। গ্রামাঞ্চল থেকে এই প্রাণীকে ধরে বস্তা বন্দি করে পুলিশের নজরের আড়ালে পাচারের ছক তৈরি করা হয়। তবে মাঝেমধ্যে এই পাচার চক্র ধরতে উদ্ধত হয় বন দফতর।