এছাড়াও আহত তিনজন ব্যক্তি বজ্রপাতের কারণে আহত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। আহতদের ভর্তি করা হয়েছে অমরকানন গ্রামীণ হাসপাতালে। আহত ও মৃত প্রত্যেকেই গঙ্গাজলঘাটির তরকাবাইদ গ্রামের বাসিন্দা। আজ সকালে এরা প্রত্যেকেই গ্রামের অদূরে থাকা এক জঙ্গলে জ্বালানির কাঠ সংগ্রহ করতে যায়। কাঠ সংগ্রহ করে বাড়ি ফেরার সময় আচমকায় ব্যাপক হারে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি শুরু হয়।
বৃষ্টির থেকে বাঁচতে তারা আশ্রয় নেয় এক বড় বৃক্ষের নিচে। আর সেখানেই ঘটে বিপত্তি। সেই সময়ই গাছের নিচে আশ্রয় নেওয়া দুই মহিলার বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। বাকি তিনজন অমরকানন গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পাশাপাশি, বিষ্ণুপুরের লায়েকবাঁধ এলাকার নামে চন্দনা বাগ বছর চাব্বিশের এক মহিলা মাঠে গরু চরিয়ে ফেরার পথে বজ্রাগাতে মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, মহাদেব দে নামে বছর ৫৯ এর এক ব্যক্তির মৃত্যু হয় বজ্রাঘাতে। বিষ্ণুপুরের রাধানগরের বাসিন্দা তিনি। মাঠ থেকে গরু নিয়ে ফেরার পথে বজ্রাঘাতে তাঁর মুত্যু হয়।
বর্ষা ইতিমধ্যেই বঙ্গে প্রবেশ করেছে। একাধিক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয় সোমবার। বাঁকুড়া জেলাতেও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয় একাধিক জায়গায়। গত জুন মাসে বজ্রপাতে একাধিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
গত ২১ জুন পূর্ব বর্ধমান জেলায় পৃথক তিনটি ঘটনায় বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় তিন জনের। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দেওয়ানদিঘি থানার তালিত স্টেশন সংলগ্ন মাঠে খেলার সময় বাজ পড়ে গুরুতরভাবে আহত হয় এক কিশোর। দেব হরিজন নামের ১৫ বছরের কিশোর আহত হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই কিশোরকে উদ্ধার করে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে, পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়নার বনগ্রামের এক বাসিন্দা মৃত্যু হয়। জানা যায়, মুক্তার সেখ মাঠে গরু চরানোর সময় বজ্রাহত হন। বয়স, ৩৬ বছর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে সেখানেই মুক্তার সেখের মৃত্যু হয়।