ভোটের সময় রাজনৈতিক নেতারা আসেন, প্রতিশ্রুতি দেন, ভোট ফুরালেই তাঁদের আর দেখা মেলে না, অভিযোগ এমনই। বাধ্য হয়েই এবার রাস্তা সারাইয়ের কাজে দল বেঁধে নেমে পড়লেন গ্রামের মানুষজন। গ্রামের মানুষেরাই ঝুড়ি, কোদাল নিয়ে নিজেদের রাস্তা মেরামত করতে শুরু করলেন।
শেখ নূর মহম্মদ নামের গ্রামবাসী বলেন, ‘এই রাস্তার এতটাই বেহাল দশা যে চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা শক্ত। গাড়ি চলাচল তো অনেক দূরের কথা, বাইক চলাচলেরও অযোগ্য এই রাস্তা। বর্ষাকালে এক হাঁটু কাদার মধ্যে দিয়ে হাঁটাচলা করতে হয়। বাড়ির শিশুদের একা এই রাস্তায় ছাড়তে ভয় লাগে।
অনেকবার অনেক জায়গায় জানিয়েছি, লাভ হয়নি। তাই এবার নিজেরাই রাস্তা ঠিক করতে নেমেছি’। এদিকে গয়লা পুকুরের বেহাল রাস্তা নিয়ে শাসক ও বিরোধী তরজা লেগেই আছে। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বামেদের ৩৪ বছরের অপশাসনের পর তৃণমূল সরকার আসার পর থেকে সর্বোত্তম উন্নয়ন চলছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের রাস্তার টাকা আবাস যোজনার টাকা ১০০ দিনের টাকা আটকে রাখার সত্বেও সব জায়গায় উন্নয়ন চলছে। তবে যে যে জায়গায় এখনও কাজ বাকি রয়েছে। আগামী দিনে সেই জায়গাগুলিতে কাজ হবে। এখন ইলেকশনের জন্য কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে বিরোধীদের উসকানিমূলক আচরণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে দিচ্ছে’। অন্যদিকে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা BJP-র সহ-সভাপতি দেবপ্রিয় বিশ্বাস বলেন, ‘আজকে মানুষের যেখানে ব্যালট হাতে ভোট দেওয়ার কথা, সেখানে কোদাল হাতে রাস্তা তৈরি করছেন।
আর তৃণমূলের নেতারা সেই রাস্তার বিল করিয়ে খেয়ে নিচ্ছে। তবে এর জবাব আগামী লোকসভা এবং জেলা পরিষদের ভোটে দেবে মানুষ। তবে বারংবার বলছি যতদিন এই সরকার থাকবে এই বাংলার কোনও উন্নয়ন হবে না’।