গ্রামের মানুষকে নিমন্ত্রন করে চরমাজদিয়া গভর্নমেন্ট কলোনি জুনিয়র স্কুলে খাওয়ানো হল মাংস ভাত। স্কুলের চৌদ্দহির ভিতরেই পড়ে রইল মদের বোতল। আর এই নিয়েই অভিযোগ বিরোধীদের। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমুল প্রার্থীরা ওই এলাকায় মাংস ভাত খাইয়ে ভোট কিনতে চাইছেন।
রাতের বেলায় স্কুলের চাবি পেল কোথায় তৃণমূল কংগ্রেস তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। স্কুলের ভিতরে মাইক এবং দলীয় পতাকা লাগিয়ে দেদার অনুষ্ঠান করার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের। এই বিষয়ে স্থানীয় এক BJP নেতা বলেছেন, ‘এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি।
স্কুল ভবনকেও ওরা রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে পারে না। তৃণমূলের এমন অবস্থা হয়েছে যে মাংশ ভাত খাইয়ে ভোট নিতে হচ্ছে। তাও আবার রাতের অন্ধকারে স্কুলের ভিতরে। বসেছে মদের আসরও। আর এদিকে সকালে স্কুল খোলার পর ছোট ছোট পড়ুয়ারা এসে এই জিনিসগুলি দেখছে।
এটা একটা চূড়ান্ত অরাজকতা’। স্থানীয় এক CPIM নেতা আবার প্রশ্ন তুলেছেন রাতের অন্ধকারে স্কুলের চাবি কি করে পেল তৃণমূল। বলেছেন, ‘আগে দেখতে হবে স্কুলের চাবি তৃণমূল নেতাদের হাতে কে তুলে দিল। এটা সম্পূর্ণ নিয়মবিরুদ্ধ কাজ। স্কুলে অনেক জরুরি তথ্য থাকে। সেগুলো যে কারোর হাতে চলে যেতে পারে। আর মদ খাওয়া তো তৃণমূলের সংস্কৃতির একটা অংশ’।
যদিও মদ খাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী জানান, ‘রবিবার ছুটির দিন উপলক্ষ্যে একটা ছোট পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে গ্রামের মানুষ অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে কোথাও মদ্যপান করা হয়নি। এগুলি মিথ্যে অভিযোগ’।
