আরাবুল বলেন, ‘ভাঙড়কে যারা ছোট করার চেষ্টা করছে, ভাঙড়ে তৃণমূল কংগ্রেস নয়, ভাঙড়ের মানুষকে যারা অপমান করার চেষ্টা করছে, আমরা শুধু আপনাদের কাছে বলতে চাই, করজোরে আবেদন রেখে বলতে চাই, যারা ভাঙড়কে বদনাম করে, ভাঙড়ের দুর্নাম করার চেষ্টা করছে, একজন খুনি নওসাদ সিদ্দিকিকে ভাঙড় থেকে উৎখাত করতে হবে। আগামী ৮ জুলাই ভাঙড়ের পঞ্চায়েত নির্বাচন, আমাদের বুঝিয়ে দিতে হবে যে নওশাদ সিদ্দিকি ভাঙড়ে নয়, হুগলিতে বসে থাকুক। ঘাড় ধাক্কা দিতে দিতে নওশাদকে ভাঙড় ছাড়া করতে হবে।’ আরাবুল আরও বলেন, ‘বাইর থেকে দুষ্কৃতী, বাইরে থেকে গুণ্ডা, বাইরে থেকে খুনি আমদানি করে এলাকায় অশান্তি করার চেষ্টা করছে। নওশাদ সিদ্দিকির ঝান্ডা নিয়ে যারা দুরে বেড়াচ্ছে, ৮ তারিখের পরে তাদের চিহ্নিত করতে হবে। ভাঙড়ে তারা থাকবে না তৃণমূল কংগ্রেস থাকবে এটা আগামী ৮ তারিখে প্রমাণ হবে।’
পুলিশকেও নিশানা
একইসঙ্গে এদিন পুলিশকেও নিশানা করেন আরাবলু ইসলাম। তিনি বলেন, ‘পুলিশ সঠিক কাজ করছে না। পুলিশকে বলব সঠিক কাজ করার জন্য। নির্বাচনের সময় থানায় বসে থাকার জন্য এখানে ডিউটি দেওয়া হয়নি। এলাকায় যে দুষ্কৃতীরা সন্ত্রাস করার চেষ্টা করছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে অশান্তি করার চেষ্টা করছে, তাদের অবিলম্বে ধরতে হবে, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।’
ফের আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষ
এদিকে এরই মাঝে ফের একবার তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাঙড়। পুলিশ সূত্রে খবর, ভাঙড়ের মঝেরহাট এলাকায় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে ব্যাপক বোমাবাজি ও বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিরাট পুলিশ বাহিনী। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে বেগ পেতে হয় পুলিশকে। পরে বেশি রাতের দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়ে নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে ভাঙড়। কয়েকদিন আগে একসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে দেখা যায় সওকত মোল্লা ও নওশাদ সিদ্দিকিকে। কিন্তু তারপরেও ভাঙড় আছে সেই ভাঙড়েই।
