গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ভূপতিনগর বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু হয় তৃণমূলের বুথ সভাপতি সহ দুই কর্মীর। নিহত রাজকুমার মান্নার স্ত্রী পুলিশের কাছে দাবি করেছিলেন, তাঁদের বাড়িতে অনেকদিন ধরেই বাজি বানানো হতো। রাজকুমার ধূমপান করার সময়ে আচমকা বাজির মশলায় আগুনের ফুলকি পড়ায় বিস্ফোরণ ঘটে বলেও দাবি করা হয়। যদিও তদন্তকারী সংস্থাকে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, রাজকুমারের বাড়িতে বাজি তৈরি হতো বলে তাঁরা কখনও শোনেননি।
এনআইএ খতিয়ে দেখছে, মৃতের স্ত্রী বাজি বানানোর যুক্তি দিলেও প্রতিবেশীরা কেন অন্য বয়ান দিচ্ছেন। ঘটনার পরে বিস্ফোরণস্থল থেকে বেশ কিছুটা দূরে তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না, তৃণমূল কর্মী লালু মান্না এবং বিশ্বজিৎ গায়েনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। অভিযোগ ওঠে, দেহ লোপাটের চেষ্টা হচ্ছিল। সেদিন তেমন কোনও ঘটনা ঘটেছিল কি না, তা-ও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। সে কারণেই স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের তলবের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও অভিযুক্তরা রক্ষাকবজ পাওয়ার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এর পর আদালত নির্দেশ দেয় আপাতত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না।