৯০০ মিলিমিটারের ওই পাইপের ফাটলটি আস্তে আস্তে বড় হয়ে যায়। মঙ্গলবার সকালে সেই জলে বিস্তীর্ণ এলাকা জল থই থই হয়ে পড়ে। জল ঢুকে পড়ে আশেপাশের দোকান এবং বাড়িঘরগুলিতেও। পুরসভার এক ইঞ্জিনিয়ার এই বিষয়ে বলেছেন, ‘জলের পাইপে যে ফাটলটি ধরেছে তা অনেক বড়।
মনে করা হচ্ছে প্রথমে হালকা ফাটল থাকলেও জলের চাপে ধীরে ধীরে তা বড় হয়েছে। এটি মেরামত করতে যথেষ্ট সময় লাগবে। তাই মনে করা হচ্ছে মঙ্গলবার বিকেলের আগে এই সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব নয়’। এদিকে এই ঘটনার জেরে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় মানুষ।
বিশেষ করে দোকান ও বাড়িগুলিতে জল ঢুকে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় মানুষরা। এই বিষয়ে এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমার দোকানে জল ঢুকে গিয়ে বেশ কিছু কাঁচামাল ভিজে গিয়েছে। এবার তা নষ্ট হওয়ার মুখে। আগে থেকে পুরসভা যে এই বিষয়গুলি কেন লক্ষ্য করে না, সেটাই বুঝতে পারিনা’।
অবিলম্বে এই ফাটল মেরামতের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষ। আর এই কারণে গার্ডেনরিচ এবং বেহালা এলাকায় মঙ্গলবার সকাল থেকেই জল সরবরাহের সমস্যা দেখা দিয়েছে। সপ্তাহের মধ্যভাগে কাজের দিন হওয়ায় যথেষ্ট অসুবিধের মুখে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। প্রসঙ্গত উল্লকেহ্য, প্রচণ্ড গরম ও তাপপ্রবাহের কারণে বিভিন্ন জায়গায় দেখা দিয়েছে জলের কষ্ট।
এরই মধ্যে এরকম বিপত্তি হয়ে প্রচুর জল নষ্ট হওয়ায় আতঙ্কিত হচ্ছেন পরিবেশবিদ থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই। জলের আরেক নাম জীবন। এই জীবনই রোজ নষ্ট এই শহরে। পথচলতি মানুষ থেকে স্থানীয় বাসিন্দা, সকলেই তা দেখছেন।
দেখেও পাশ কাটিয়ে যাচ্ছেন। অনেকের কাছে জল অপচয় যেন নিত্য নৈমিত্তিক এক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের অনেক রাজ্য যখন এই মুহূর্তে চরম জল সঙ্কটে ভুগছে, তখন কলকাতা জলের ব্যপারে চরম উদাসীন, এমনও অভিযোগ উঠেছে বারবার।
