জলপাইগুড়ি থেকে শিলিগুড়িগামী ৩১ নং জাতীয় সড়কের হাতিমোরে পঞ্চায়েত সাধারণ নির্বাচনের জন্য শুরু হওয়া নাকা চেকিংয়ে উদ্ধার হয় এই বিপুল পরিমাণ মদ। একটি চার চাকার গাড়ির বিভিন্ন অংশে মদের বোতল লুকিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে জানান রাজগঞ্জ থানার IC পঙ্কজ সরকার।
এই বিষয়ে রাজগঞ্জ থানার IC পঙ্কজ সরকার বলেন, ‘রাজগঞ্জ থানার পুলিশ কর্মীরা ডিউটিতে নাকা চেকিংয়ের সময় আসামের দিক থেকে শিলিগুড়ির দিকে যাওয়া একটি AS04H/5375 নম্বরের একটি টাটা স্পাসিও গাড়ি আটক করেন৷ গাড়িতে তল্লাশির সময় মোট ১০২ বোতল আসামে তৈরি মদ পাওয়া যায়। যা কিনা গাড়ির বডির বিভিন্ন অংশে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।’
গাড়ির চালকের নাম কমলেশ ভাণ্ডারী, বয়স ৩৮ বছর। সে সিতামারি বিহারের বাসিন্দা। তাঁকে আটক করা হয় বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু মদ নিয়ে যাওয়ার কোনও নথি সে জমা করতে পারেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জলপাইগুড়ি জেলায় বেআইনি মদ উদ্ধারের ঘটনা এই নতুন নয়। গত বছরের শেষের দিকে ধূপগুড়ি থেকে একেবারে ফিল্মি কায়দায় উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ বেআইনি মদ। একেবারে ফিল্মি কায়দায় ছদ্মবেশে গ্রাহক সেজে ধুপগুড়ি থানার OC প্রবেশ করেন এক বাড়িতে।
পিছু পিছু হাজির হন অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মীরাও। বাড়ির সামনে গাড়ি দাঁড়াতেই সুযোগ বুঝে দৌড় মেরে বাড়ি ছেড়ে চম্পট দেয় মালিক। ওই বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় প্রচুর ভুটানের মদ।
গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে অভিযানে নামে ধুপগুড়ি থানার পুলিশ। এরপরই কার্টুনে ভুটান মদ আটক করে আবগারি দফতরের কর্মীরা। ঘটনায় ব্যাপক চঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি। আর তাতেই উদ্ধার করা হয় এই বিপুল পরিমাণ ভুটানি মদ।