এদিন পদযাত্রা শেষে কাটাডাঙ্গা গ্রামের প্রায় ৩০০ ISF কর্মী নবিরুল মোল্লা, রব্বানী মোল্লা ও ফারুক মোল্লার নেতৃত্বে তৃণমূলে যোগদান করে। তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন শওকত মোল্লা, আরাবুল ইসলাম সহ বাকি নেতারা। এই যোগদান প্রসঙ্গে শওকত মোল্লা বলেন, ‘বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে কাঁটাডাঙ্গা গ্রামে কোনও উন্নয়ন হয়নি। এই এলাকার মানুষের কিছু দাবি আছে।
আমরা নির্বাচনের পর সেই কাজ করে দেব। ভাঙড় বিধানসভা তৃণমূলের হাতছাড়া হওয়ায় অনেক জায়গাই উন্নয়নের হাত থেকে বঞ্চিত রয়েছে। কাঁটাডাঙ্গা গ্রাম সেগুলির মধ্যে একটি। আজকে আমাদের দলে যোগ দেওয়া ISF কর্মীরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে তৃণমূলে যোগ দিলেন।
আমরা সবাইকে স্বাগত জানিয়েছি’। ISF ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া নবিরুল মোল্লা বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কাজ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূলে যোগ দিলাম। সত্যি বলতে বিধানসভা ভোটের পর থেকে কাঁটাডাঙ্গা গ্রামে বিশেষ কিছু উন্নতিও হয়নি। এই কারণে গ্রামের মানুষ ক্ষুব্ধ ছিলেন।
তাই সবাই মিলে আলোচনা করেই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই’। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তিনদিন আগেই শনিবার সন্ধ্যায় ISF থেকে তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রায় ৫০ জন কর্মী সমর্থক। পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষে ভাঙড় ২ ব্লকের নিমকুড়িয়া গ্রামে তৃণমূলের নির্বাচনী সভার আয়োজন করা হয় শনিবার সন্ধ্যায়।
সেখানেই ISF-র প্রায় ৫০ জন কর্মী সমর্থক তৃণমূলে যোগ দেন। যদিও এসব যোগদান পর্বকে ভাঁওতাবাজি বলে কটাক্ষ করেছে ISF নেতৃত্ব। ভাঙড়ের এক ISF নেতা এই বিষয়ে বলেন, ‘যাদেরকে তৃণমূল যোগ দেওয়া করাচ্ছে, তাঁরা অনেকদিন থেকেই তৃণমূলে আছে। আমাদের দল থেকে এখন কেউ ওদের দলে যায়নি। ভোটের আগে ISF আমাদের কর্মীদের মনোবল ভাঙতেই ওরা এসব নাটক করছে’।