অর্নবাংশু নিয়োগী: শনিবার পঞ্চায়েত ভোট। অথচ গ্রামেই ঢুকতে পারছিলেন না ৫৭টি পরিবার। বিরোধী দলের ওইসব সমর্থককে ঘরে ফেরানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার হাওড়া পুলিসকে ওই নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। ভোট দেওয়ার জন্য তাদের ফেরানো হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন-আদিবাসীর মুখে প্রস্রাব বিজেপি নেতার! ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই গ্রেফতার
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর অশান্তির কবলে পড়ে হাওড়ার আমতা এলাকার ওইসব পরিবার। আতঙ্কে তারা বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হন। সিপিএমের সমর্থক ওই ৫৭টি পরিবার গ্রাম ছেড়ে অন্য বাস করতে শুরু করেন। এবার পঞ্চায়েত ভোটের মুখে তারা ঘরে ফিরতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন আমতার চন্দ্রপুরের ওইসব বাসিন্দারা। কিন্তু তাদের আশঙ্কা ছিল গ্রাম ঢুকলে তাদের উপরে আক্রমণ হতে পারে। তাই তাদের নিরাপত্তা দেওয়া হোক।
সেই মামলায় আজ বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, ওইসব পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে হবে পুলিসকে। চন্দ্রপুর গ্রামে পুলিস পিকেট বসাতে হবে। ওইসব পরিবারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে হাওড়া গ্রামীণ পুলিস সুপারকে।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন ও তার পরে একের পর এক রাজনাতিক সংঘর্ষে এখনওপর্যন্ত রাজ্য ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। রক্ত ঝরেছে ভাঙড়, মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার সহ একাধিক জায়গায়। গতকালও অশান্তি হয়েছে বাসন্তীতে। আক্রান্ত বিজেপি সমর্থকরা। গতকাল দেগঙ্গায় বোমাবাজিতে খুন হয় এক স্কুল পড়ুয়া।
গত ৯ জুন মুর্শিদাবাদের খরগ্রামে খুন হন ফুলচাঁদ শেখ।
১৪ জুন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে খুন হন মহিউদ্দিন মোল্লা।
১৮ জুন ভাঙড়ে খুন হন সেলিম মোল্লা।
১৪ জুন ভাঙড়ে খুন হন রশিদ মোল্লা।
১৫ জুন মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে খুন হন মোজাম্মিল সেখ।
১৭ জুন মালদহের সুজাপুরে খুন হন মুস্তাফা েসখ।
১৮ জুন কোচবিহারের দিনহাটায় ভোটের বলি শম্ভু দাস।
২১ জুন উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় মৃত্যু হয় মনসুর আলমের।
২২ জুন পুরুলিয়ার আদ্রায় খুন হন ধনঞ্জয় চৌবে।
২৪ জুন মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় খুন হন আলিম সেখ।
২৭ জুন কোচবিহারের গীতালদহে খুন হন বাবু হক।
১ জুলাই বাসন্তীতে খুন হন জিয়ারুল মোল্লা।
৩ জুলাই হাড়োয়ায় খুন হন পরিতোষ মণ্ডল।
৫ জুলাই দেগঙ্গায় প্রাণ হারান ইমরান মোল্লা।